অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:- :এখন বিজেপি সহ বঙ্গ রাজনীতিতে বহূূল চর্চিত বিষয় শোভন বৈশাখী জুটি। অনেক চেষ্টা করেও ধৈর্যের বাঁধ যেন আর আটকে রাখা যাচ্ছে না। একাধিক বিতর্ক পেরিয়ে মুকুল ও কৈলাসের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে কিছুটা সমঝোতার জায়গা তৈরি হয়েছিল। যদিও দেবশ্রী রায়কে নিয়ে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধীতায় অনড় ছিলেন শোভন-বৈশাখী। তবুও একাধিকবার দলত্যাগের পরিকল্পনা করে ফেললেও সিদ্ধান্ত নেননি কিছুই। কিন্তু পুরোটাই কেঁচিয়ে গণ্ডূষ করে ফেললেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে প্রাক্তন মেয়রের সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর সম্পর্ককে ‘পরকীয়া’ বলে বসেন তিনি। ব্যাস, ঠিক এতে যেন তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছেন বঙ্গ রাজনীতির সর্বাধিক চর্চিত এই যুগল।
হতে পারে বঙ্গ বিজেপিতে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ততটাও হেভিওয়েট নাম নন। কিন্তু বিজেপির অন্দর থেকেই কোনও নেতা যখন এই ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে আক্রমণ করেছেন, তখন শোভন ও বৈশাখী উভয়ের কাছেই সেটা ‘অশোভন’ বলে মনে হয়েছে। একই সঙ্গে যেভাবে তাদের খরচের খাতায় ফেলে তৃণমূলের বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে দলে টানার পক্ষপাতী মন্তব্য জয় করেছেন, সেটাও যথেষ্ট গায়ে লেগেছে প্রাক্তন মহানাগরিক সহ তাঁর বান্ধবীর। এহেন পরিস্থিতিতে ‘চূড়ান্ত অপমানিত’ পাল্টা জয়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বৈশাখী। দু’জনেরই স্পষ্ট বক্তব্য, বিজেপিতে প্রচুর অশিষ্ট লোক রয়েছে। এত শিষ্টাটারের অভাব পুরনো দলে ছিল না। জয়কে নিশানায় নিয়ে তিনি বলেন এত নিম্নরুচির লোক আগে দেখিনি। জয়কে দেখে করুণা হচ্ছিল। শোভন চট্টোপাধ্যায় তো এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, বানরের হাতে তলোয়ার পড়লে যা হয়, সেটাই করে দেখাচ্ছেন জয়।
এখানেই থেমে থাকেননি শোভন-বৈশাখী। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবর্জনার সঙ্গেও তুলনা করেন তাঁরা। বৈশাখী বলেন, আবর্জনা কেবল রাস্তায় পাওয়া যায় না। মানুষের মনেও আবর্জনা থাকে। যিনি নিজের স্ত্রী’কে সম্মান দিতে পারেন না এবং তাঁর সম্বন্ধে বাজে কথা বলেন, তিনি অন্য মহিলাদের কী ভাবে সম্মান দেবেন? বরং তৃণমূল এর চেয়ে কয়েকগুণে ভাল ছিল বলেও জানিয়েছেন বৈশাখী। তাঁর কথায়, আমরা তো ভেবেছিলাম এবার ওরা (তৃণমূল) আমাদের নামে কুৎসা করবে। বরং দেখেছি, তাঁরা অনেক শিষ্টাচার দেখিয়েছেন। এখন তো দেখছি এই দলেই অশিষ্ট লোকজন বেশি। আগের দলেও বিরোধিতা ছিল। কিন্তু এহেন আক্রমণ এহেন ব্যক্তিগত স্তরে কখনই নামেনি বলে মন্তব্য করেন শোভন।
এই ঘটনার পরই ফের একবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের দ্বারস্থ হয়েছেন শোভন ও বৈশাখী। জানিয়ে দিয়েছেন, দল যদি জয়ের মন্তব্যের বিরুদ্ধ অবস্থান না নেয় তাহলে তারা বুঝে নেবেন দলও ওই কথাকেই সমর্থন করছে। তখন যা পদক্ষেপ নেওয়ার তারা নেবেন। এই অবস্থায় বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন শোভন ও বৈশাখী। তারপরই হয়তো দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করতে পারেন তারা।
সৌজন্য :- মহানগর ডেস্ক