দিলীপ ঘোষের সুর বদল এন আর সি নিয়ে বললেন হিন্দু, ভারতীয় মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই

Spread the love

অয়ন বাংলা, নিউজ ডেস্কঃ-অসমে এন আর সি হয়েছে ,বাংলায় এন আর সি আতঙ্ক ছড়িয়েছে । উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে এনআরসি হওয়ার পর থেকেই, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে গ্রামগঞ্জে। আসলে বিজেপি নেতাদের বিভিন্ন উস্কানিমূলক হুশিয়ারি সেই ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন কোণে বেশকিছু দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

এসব মৃত্যুর জেরে তৃণমূল, বাম দলগুলোর বিভিন্ন নেতা দিলীপের গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন। বিভিন্ন সমালোচনার জেরে কিছুটা পিছু হটে গতকাল সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, এনআরসি (NRC) নিয়ে হিন্দু এবং ভারতীয় মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই, শুধুমাত্র অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতেই এই পদক্ষেপ।

রাজ্যে ক্ষমতায় এলে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি কার্যকরা করা হবে বলে একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতারা, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক, তারমধ্যেই এই মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তার প্রস্তুতি হিসেবে, ইতিমধ্যেই, পুরসভাসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে গিয়ে জন্ম শংসাপত্র খুঁজতে শুরু করেছেন অনেকেই। যদিও তৃণমূল আশ্বাস দিয়েছে, বাংলায় এনআরসি কার্যকরা করতে দেওয়া হবে না।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এনআরসি নিয়ে হিন্দু এবং ভারতীয় মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে হিন্দু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ত্ব দেওয়া হবে। যে সমস্ত মুসলিম, ভারতে বিগত কয়েক দশক ধরে বাস করছেন এবং তাঁদের প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকত্ত্বের প্রমাণ রয়েছে, তাঁদের কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁরা দেশের নাগরিক থাকবেন”।

এনআরসি নিয়ে এক আলোচনাচক্রে অংশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “যারা বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করেছে, একমাত্র তাদের চিন্তার কথা, কারণ, একবার এনআরসি কার্যকর করা হলে, তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং দেশের বাইরে ছুঁড়ে ফেলা হবে”। গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ ব্রিগেডের ক্যাপ্টেন বলেন, ভারতীয় মুসলিমদেরও উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত কারণ, তাঁদের চাকরি এবং জীবন জীবিকা হরণ করে নিচ্ছে অনু্প্রবেশকারীরা। বিলটি আবারও শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হতে পারে জানিয়েছেন দলের বেশ কয়েকজন নেতা।

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে, রাজ্যে তৃণমূল এনআরসির বিরোধিতা করছে, কারণ, তারা তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। এনআরসিকে “দেশ-বিরোধী” বলে মন্তব্য করে তার বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Share on:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.