মঙ্গলবার দেশজুড়ে চলছে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট, বন্ধ এ টি এম কাউন্টারও

Spread the love

ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার দেশজুড়ে হচ্ছে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট৷ বন্ধ এডিএম কাউন্টারও৷ ধর্মঘটীদের দাবি জনগণের স্বার্থেই তাঁরা এমন ধমর্ঘট করছেন৷ নাজেহাল আম জনতা৷ সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশজুড়ে ৩টি কর্মী সংগঠনের ডাকে ব্যাংক ধর্মঘট। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মীরা এই ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে না। তাই গ্রাহক স্বার্থে নিজেদের পরিষেবা চালু রাখার আশ্বাস দিয়েছেন কর্তারা। চালু থাকার কথা গ্রামীণ ও সমবায় ব্যাংকগুলিও। ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস – এই তিন সংগঠন মিলে আজ, মঙ্গলবার একযোগে ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সপ্তাহের কাজের দিনে এই ধর্মঘটের জেরে বেশ সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ গ্রাহকরা। গুটি কয়েক ব্যাঙ্ক পরিষেবা চালু রাখলেও, গ্রাহকের চাপের তুলনায় তা অনেকটাই কম। এদিকে এই ধর্মঘটের জন্য রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা৷ এটিএম বন্ধ থাকায় বিপত্তি আরও বেড়ে গিয়েছে৷
ভারতীয় অর্থনীতির বেহাল দশায় কোপ পড়েছ ডেশের ছোটো ও মাঝারি ব্যাঙ্কের ওপর৷ জাতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বড়সড় রদবদল করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে ৪টি ব্যাঙ্ক তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। এর জেরে আলাদাভাবে আর থাকছে না ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স, ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক। মিশে যাচ্ছে কানাড়া ব্যাঙ্ক, সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক এবং ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, অন্ধ্র ব্যাংকও। ফলে কর্মী ছাঁটাইও হবে। তাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবল প্রতিবাদে নেমে পড়েছে ব্যাঙ্কের কর্মী সংগঠনগুলি। তবে শুধু সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদই নয়। এদিনের ধর্মঘটে অনাদায়ী ঋণ আদায়, ব্যাঙ্কিং পরিকাঠামোর পুনর্বিন্যাসের ফাঁকফোকরগুলি নিয়েও সরব হচ্ছেন তাঁরা।
যে সংগঠনগুলি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআইয়ের হাতে গোনা কর্মী সেসব সংগঠনের সদস্য।

এদিকে স্টেট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আশা, ধর্মঘটের বিশেষ প্রভাব তাদের পরিষেবায় পড়বে না। এছাড়া গ্রামীণ ও সমবায় ব্যাংকগুলিকে এই ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। তাই গ্রামীণ এলাকায় আজকের ধর্মঘটের কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সবচেয়ে সমস্যায় শহরাঞ্চলের গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের বক্তব্য নীরব, বিজয়দের তুমুল ব্যাঙ্ক লুঠের পরেও ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কমছে না৷ তাই এগুলি আটকাতেই ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ আপশপাশি কেন্দ্রের আশ্বাস এর ফলে কোনও কর্মী ছাঁটাই হবে না৷ তবে মোদী প্রসাসনের এই আশ্বাসে ভরসা দেখাচ্ছে না দেশজুড়ে অধিকাংশ ব্যাঙ্ক কর্মচারী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.