ওয়েবডেস্ক: দিল্লীতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদানের ইচ্ছা ,শোভন চ্যার্টাজীর বেঁকে বসা ,নাটক ,এখন কেলেংকারীর বেড়াজালে। এমনিতেই দল বদলের জল্পনায় ফাটা বাঁশে আটকে রয়েছেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। তৃণমূল এবং বিজেপি দু’জায়গাতেই আপাত ব্রাত্য হয়ে কার্যত ঘরবন্দি তিনি। এমন পরিস্থিতির মাঝেই এবার নতুন বিপদ ঘিরে ধরল দেবশ্রীকে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের টোটো দেবেন বলে তাঁদের থেকে ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি আর ওমুখো আসেননি বলে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে দেবশ্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল রায়দিঘিতে।
গ্রামবাসিদের অভিযোগ, গরিব মানুষকে টোটো দেওয়ার নাম করে তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায় তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। কিন্তু সেই টাকা নেওয়ার পর আর রায়দিঘি অঞ্চলে পা রাখেননি তিনি। যার জেরেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। রায়দিঘি জুড়ে পোস্টার পড়েছে হয় টোটো দাও নাহলে টাকা ফেরত দেও। এমনকি স্থানীয় তৃণমূলের তরফেও এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পুর্নাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে দলের কোনও রকম অনুমোদন ছাড়াই এই বিপুল পরিমাণ টাকা তুলেছেন দেবশ্রী। ফলে এর দায় দলের নয়, ওনার।
দেবশ্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, চলতি বছরের শুরুর দিকে গ্রামবাসীদের টোটো দেওয়ার জন্য দলের সকলকে নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন দেবশ্রী। সেখানে তিনি জানান, তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমেই এই টোটো বিলি করা হবে। তবে তাতে আপত্তি জানান ব্লক সভাপতি থেকে বুথ সভাপতি। এই ঘটনার জেলা সভাপতিরও অনুমতি তিনি নেননি। এরপর টোটো যারা নিতে চান তাঁদের ৪ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য বলেন দেবশ্রী। এভাবে দফায় দফায় বিপুল টাকা তোলা হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ওই টাকার রশিদও কাউকে দেওয়া হয়েছে আবার কাউকে দেওয়া হয়নি। কারও কারও থেকে আবার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে তোলা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় দেবশ্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তিনি ফোন তোলেননি। কিন্তু গোটা ঘটনায় দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তুতি শুরু করেছে খোদ তৃণমূল।