সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশের মেয়ে সুমিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলাচ্ছে :
এম, ইউছুফ,অয়ন বাংলা :
চাকুরির আশায় সৌদি আরবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশের মেয়ে সুমি আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সৌদি রাষ্ট্রদূতের কর্মকর্তারা। সুমিকে উদ্ধার করে সেইফ হোমে আনার চেষ্টাও চলছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় সুমি আক্তারকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর একান্ত সচিব (এপিএস) সিরাজুল ইসলাম।
সম্প্রতি ফেসবুকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া পাশবিক নির্যাতনের কথা বলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান সুমি। পরে সুমির পোষ্ট করা ভিডিওটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। পর সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার সুমি আক্তারকে ফেরাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম।
সুমি গত ৩০ মে সুমি ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ এর মাধ্যমে সৌদি আরব যান। দালালরা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তাকে যে বিক্রি করে দিয়েছে সেই কথা জানতেন না সুমি। সৌদি আরব যাওয়ার সপ্তাহ খানেক পর থেকে শুরু হয় তার ওপর মারধর, যৌন হয়রানিসহ নানান পাশবিক নির্যাতন। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই তার স্বজনদের কাছে তার ওপর হয়ে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনা বলতেন।
নির্যাতনের শিকার সুমি আক্তার বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বোদা সদর থানার রফিকুল ইসলামের মেয়ে। গত দু’বছর হলো আশুলিয়ার চারাবাগের নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে। সুমি আক্তারের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী সেখানে বিপদে আছে।তাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো, আমার স্ত্রীকে যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।’