“আচ্ছে দিন “অমিত পুত্র জয়ের ৬৬মাসে ১৫ হাজার শতাংশ ব্যবসা বৃদ্ধি নিয়ে তোপ কংগ্রেসের

Spread the love

ওয়েবডেস্ক:মাত্র সাড়ে পাঁচ বছরেই ব্যবসায় ‘বাড়াবাড়ি’ লাভ নিয়ে ফের তোপের মুখে অমিত পুত্র জয় শাহ। ২০১৪ সালে প্রথম বার মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত পাঁচ বছরে তাঁর সংস্থার আয় ১৫০০০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, দেশ জুড়ে যখন অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তখন কোন মন্ত্রবলে নিজের সম্পত্তি এত বাড়িয়ে নিলেন অমিত পুত্র? এর আগে দ্য ওয়ার প্রথম অমিতের পুত্র জয়ের এই অস্বাভাববিক মুনাফা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল৷ যার জন্য ওই মিডিয়ার বিরুদ্ধে জয় শাহ ১০০ কোটির মানহানির মামলা করেছিল৷ স্বাভাবিকভাবে বিজেপি জয়ের প৭এই সওয়াল করেছে৷

কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের একটি তালিকা উদ্ধৃত করে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘দ্য ক্যারাভান’ পত্রিকা। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৪ সালে জয় শাহের সংস্থা কুসুম ফিনসার্ভ লিমিটেডের মোট আয় ছিল ৭৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে তা বেড়ে ১১৯ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে জানা যায়, সংস্থার আয় বাড়লেও ২০১৭ ও ২০১৮ সালে তার হিসাব দেখাননি জয় শাহ। অতি সম্প্রতি সেই সংক্রান্ত তথ্য জমা করেন তিনি।

এই নিয়ে  দিল্লিতে দলের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা। তিনি বলেন,‘আপনার, আমার মতো মানুষ হিসাব না দেখালে তা অপরাধ হিসাবে গণ্য হত। পাঁচ লক্ষ টাকা পেনাল্টি ঘাড়ে চাপত। কিন্তু যুবরাজ জয় শাহ নিয়ম-কানুনের ঊর্ধ্বে। তাই ২০১৭ ও ২০১৮ সালের হিসাব দেখাননি উনি। লোকসভা নির্বাচন না মেটা পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন।’
২০১৪-য় জয় শাহর কুসুম ফিনসার্ভ লিমিটেডের মোট বার্ষিক আয় ছিল ৮০ লক্ষ। ২০১৯-এ তা ১১৯ কোটি ৬০ লক্ষ হয়ে গেল। আবার ২০১৭-য় ১৪৩ কোটি পর্যন্তও উঠেছিল। যুবরাজ শাহ এবং তাঁর পরিবারের ওই সংস্থা কী ব্যবসা করেন, তা কারও জানা নেই। কী এমন ব্যবসা করেন ওঁরা, মাত্র কয়েক বছরেই যার ব্যবসা ১৫০০০ শতাংশ বেড়ে যায়? ’ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও বিষয়টি তুলবেন বলে জানিয়েছেন খেরা।জয় শাহের ব্যবসা বৃদ্ধি নিয়ে টুইটারে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। ফারুখ আবদুল্লাকে নিয়ে সংসদে অমিত শাহের মন্তব্য টেনে বলেন মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে খুব শীঘ্র রিপোর্টটি তুলে নেওয়া হতে পারে। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব নিযুক্ত হয়েছেন জয় শাহ। সেই নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি। তার মধ্যেই নতুন করে তাঁর ব্যবসা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এ নিয়ে বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.