ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটব্যাংকের জন্য বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গেরুয়া শিবির রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বারবার এই অভিযোগে সরব হয়েছে। কিন্তু, এবার ভিনদেশিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে অস্বস্তিতে সেই বিজেপিই। এক বাংলাদেশি নাগরিককে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল এক বিজেপি নেতা। রবি কুমার নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ধর্মা এলাকায়।
জলপাইগুড়িতে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি নাগরিককে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন রবি কুমার। শুধু তাই নয়, ওই আধার কার্ডটি তৈরি করার জন্য তিনি দিলীপ ঘোষের নামের সংশাপত্রও ব্যবহার করেন। দিলীপ ঘোষের খাসতালুক পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির ক্লাব ও স্পোর্টস সেলের আহ্বায়ক রবি কুমারের এই কীর্তি রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে কেন্দ্রের শাসকদলকে। রবি কুমার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন একসময়।
গত ১৬ জুলাই জলপাইগুড়ি শহরের এক পানশালায় অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় পানশালার মালিক সৌমেন বাইন ও তাঁর স্ত্রী পুষ্পা রায়কে। সৌমেনের আসল বাড়ি এই পশ্চিম মেদিনপুরে। বিজেপি নেতা রবি কুমারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তিনি। কাজের সুবাদে সৌমেন থাকতেন জলপাইগুড়িতে। পানশালায় অভিযান চালানোর সময় পুলিশ পুষ্পার আধার কার্ডটি পায়। পুলিশ বুঝতে পারে সেটি নকল। তদন্তে জানা যায়, পুষ্পা আসলে বাংলাদেশের নাগরিক। দিলীপ ঘোষের শংসাপত্র ব্যবহার করে রবি কুমারই তাঁকে আধার কার্ডটি তৈরি করে দিয়েছেন।
এরপরই পশ্চিম মেদিনীপুরে অভিযান চালিয়ে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে জলপাইগুড়ির কোতওয়ালি থানার পুলিশ। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে জলপাইগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গবাসীকে যখন এনআরসির আতঙ্ক গ্রাস করে রেখেছে। তখন দলেরই নেতা বাংলাদেশিকে নকল পরিচয়পত্র তৈরি করে দেওয়ায় বেশ অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
সৌজব্য:- প্রতিদিন