ওয়েবডেস্ক: বিতর্কিত জমিতে একাধিকার প্রমাণ করতে ব্যর্থ মুসলিম পক্ষ। অযোধ্যা মামলার রায়দানের সময় শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিতর্কিত জমিতে ইংরেজ আমলে সেখানে নামাজ পড়া হত না। এর বদলে মুসলিম পক্ষকে বিকল্প জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কেননা ধ্বংসস্তুপের নিচে মন্দির থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে এএসআই। সেই কারণে যাতে আলাদা মসজিদ নির্মাণ করা যায় সেই জন্যই সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যাতেই সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে।
ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায়দান শুরু হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রথমেই শীর্ষ আদালত সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়েছে, শিয়া বোর্ডের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ রায় ঘোষণা করতে তাঁর আরও ৩০ মিনিট সময় লাগবে। একই সঙ্গে জানা যাচ্ছে, নির্মোহি আখাড়ার আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই) সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে বিতর্কিত জমিতে প্রথমে একটি মন্দিরই ছিল। তবে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে বাবরি মসজিদ ফাঁকা জমির ওপর তৈরি হয়নি বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি বিতর্কিত জমির ওপর মালিকানা কার হবে, সেটা আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে নির্ধারন করা হবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আগে একটি মন্দিরের ধ্বংসস্তুপ ছিল মানে সেই জমি তাদের, এমন কোনও মানে নেই। সেই কারণে বিতর্কিত জমির মালিকানা আইনি প্রক্রিয়ায় নির্ভর করবে। সেই হিসেবেই তা বাঁটোয়ারা করা হবে। সেখানে আস্থা বা বিশ্বাসের কোনও জায়গা নেই।
সৌজন্য:-মহানগর