ওয়েবডেস্ক:বহরনপুরের রবিন হূড এবার ডাক পেলেন মমতার প্রশাসনিক বৈঠকে। কেন্দ্রে চিত্রটা কিছুটা আলাদা হলেও রাজ্যস্তরে ঘর বিরোধী দুইপক্ষ। তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা ছাড়া কখনও নরম হতে দেখা যায়নি বহরমপুরের বাঘা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে। এহেন অধীরকেই এবার প্রশাসনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নজির সৃষ্টি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন অধীর চৌধুরীও।
নিয়ম করে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকা অনুযায়ী বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মুর্শিদাবাদে। সাধারণত প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থাকেন জেলার ও রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা। পাশাপাশি ডাক পড়ে শাসকদলের সাংসদ, বিধায়কদের মতো ছোট বড় দলীয় নেতাদের। বিরোধীদের কাউকে সেভাবে কখনও এই বৈঠকে ডাকতে দেখা যায়নি সরকারকে। সেখানেই এবার নজির গড়ে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য ডাক পাঠানো হল বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে। যদিও সে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেননি অধীরবাবু। সংসদে শীতকালীন অধিবেশন থাকার জেরে বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। যদিও তার যে আসার ইচ্ছা ছিল সেটা বুঝিয়ে দিয়েই এদিন জেলা প্রশাসনকে একটি চিঠিও লেখেন তিনি।
এই প্রসঙ্গেই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীর বলেন, যাওয়ার উপায় থাকলে তিনি অবশ্যই যেতেন। কিন্তু প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। পরে এমন ডাক পেলে অবশ্যই যাবেন তিনি। পাশাপাশি সামান্য একটু খোঁচা দিয়ে তিনি এটাও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন পরিবর্তন দেখে ভালোই লাগছে। আগে তো কোনও বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলেও সাড়া পাওয়া যায়নি ওনার। যাইহোক এটা ভাল। রাজনৈতিক দুরত্ব যতই থাকুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কোনও সমস্যা থাকলে তো তাঁকেই বলব।