ওয়েবডেস্ক: এন আর সি নিয়ে এবার বিস্ফোরক অধীর । গোটা দেশে এনআরসি লাগু করে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর ‘হুমকি’ দিয়ে রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাল্টা তাঁকে ও নরেন্দ্র মোদীকেই ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে দেগে দিলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিল্লিতে ‘অনুপ্রবেশকারী ও অভিবাসী’ বলে আখ্যা দেন তিনি। কেন অভিবাসী? সেই ব্যাখ্যা দিয়ে বহরমপুরের সাংসদ বলেন, ওদের গুজরাটে ঘর থাকা সত্ত্বেও দিল্লিতে বসবাস করছেন। তাই তারাও একপ্রকার উদ্বাস্তু।
এনআরসি নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে পেরে ওঠা যে সহজ হবে না সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন অমিত শাহ। এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকেও বলতে শোনা গিয়েছে, দেশের প্রতিটি রাজ্যে এনআরসি লাগু করার কথা। সেই দিনই আবার পাল্টা দিয়েছেন অধীর। বাম, তৃণমূল সহ প্রত্যেকটি বিরোধী দলই এনআরসি নিয়ে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছে। এমনকী খোদ অসম বিজেপির মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও জানিয়েছেন, এনআরসি ত্রুটিমুক্ত নয়। তাও দমে যাওয়ার পাত্র নয় কেন্দ্র।
কেন্দ্রের এই চাপের জেরে অধীর চৌধুরী নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘ভারত কারোর একার সম্পত্তি নয়।’ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায় , ‘হিন্দুস্থান সকলের। এটা কি কারোর একার সম্পত্তি নাকি? এখানে প্রত্যেকের সমান অধিকার রয়েছে। অমিত শাহজি, নরেন্দ্র মোদীজি, আপনারা নিজেরাই অনুপ্রবেশকারী। বাড়ি-ঘর আপনাদের গুজরাট, আর আপনারা চলে এলেন দিল্লি। আপনারা তো নিজেরাই ‘উদ্বাস্তু’।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় অমিত শাহ লাগাতার এনআরসি নিয়ে চাপ বাড়ানোর কারণেই অধীর চৌধুরী এই বক্তব্য দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। অমিত শাহের বক্তব্য ছিল, একটি সম্প্রদায় বাদে আর কোনও সম্প্রদায়ের ভয় পাওয়া কোনও কারণ নেই। তবে অসমে এনআর সি করতে গিয়েই কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে বিপাকে পড়েছে, এরপর দেশের অন্যান্য রাজ্যে বিষয়টি নিয়ে কল্পনা করলেও কতটা বিপাকে পড়তে হবে সেটাই ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।