ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তান ওপার থেকে ভারতের মাটিতে জঙ্গিপনা চালাতে তার জবাব দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করে না ভারত। এয়ার স্ট্রাইক থেকে শুরু করে সীমা পারের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে কামান দেগে ধুলিস্যাৎ করে দেয় ভারত। তবে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ভারত যতখানি তেজের সঙ্গে লড়াই করে, চিনের সঙ্গে অতটা নয় কেন? অনুপ্রবেশে চিনও তো কম যায় না। তাছাড়া পাকিস্তানকে আস্কারা দেওয়ার পিছনে মূল কান্ডারি তো সেই চিন। তারা সীমান্ত ডিঙিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে তা তো দেশের জন্য বিপদজনক। বুধবার এই ভাষাতেই সংসদে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
মঙ্গলবারই নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিংহ দাবি করেছিলেন, বিনা অনুমতিতে ভারতের জলসীমায় অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল চিনের একটি নৌ জাহাজ। ভারতের নৌবাহিনী অবশ্য তার পিছু নিয়ে তাকে সিমানা পার করে দিয়ে আসে। এই প্রসঙ্গ তুলেই লোকসভায় অধীর চৌধুরী বলেন, ‘পাকিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা আর চিন পাকিস্তানের। এই চিন এখন আন্দামান নিকোবরে জাহাজ পাঠাচ্ছে। যখন পাকিস্তানের বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে তখন কড়া জবাব দিতে পিছপা হই না আমরা। তাহলে চিনের ক্ষেত্রে আমরা নীরব কেন? এটা তো দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস।’
অধীরবাবুর প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সংসদে দাঁড়িয়ে রাজনাথ সিং বলেন, ‘ভারত ও চিনের মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কোনও লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নেই। যেহেতু এটা নেই তাই মাঝে মধ্যেই এই ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। কখনও চিনা সেনা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে আবার কখনও ভারতীয় সেনা চিন সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এটা হওয়ার পিছনে মূল কারণ নিয়ন্ত্রণ রেখা বিহীন দুই সীমান্ত। তবে পরিস্থিতি যাতে ঠিক হয় তার জন্য ভারত চিন সীমান্ত এলাকায় রাস্তা, টানেল, রেললাইন, এয়ার বেস তৈরির মতো উন্নয়ন মূলক কাজ চলছে।’
এর পাশাপাশি সংসদে অধীরবাবুকে জবাব দিয়ে বুক ঠুকে রাজনাথ জানান, ‘আমি সংসদকে আশ্বস্ত করে দিতে চাই, আমাদের সেনাবাহিনী সীমান্তে সর্বদা অতন্দ্র প্রহরায়। সীমান্তের যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আমরা তৈরি। সুতরাং সীমান্ত রক্ষা নিয়ে কারও মনে বোধহয় কোনও রকম প্রশ্ন থাকা উচিত নয়।’