ুপারদ নামতেই গরম পোশাক কেনার ভীড় বাড়ছে কাপড়ের দোকানগুলিতে
পল মৈত্র, অয়ন বাংলা, দক্ষিন দদিনাজপুরঃ- গত দুদিন ধরে চলতে থাকা হিমেল ঠান্ডা হাওয়ার জন্য পারদ নামল শীতের আর তাতেই কাপড়ের দোকান গুলিতে শীত থেকে বাঁচার জন্য গরম পোশাক কেনার ভিড় উপচে পড়ছে ক্রমাগত। গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া হিমেল হাওয়ার জেরে ঠান্ডার পারদ নামতে থাকে এক লাফে তাপমাত্রা নেমে দাড়ায় ১৮-২০ ডিগ্রী অবদি। হাওয়া অফিস জানায় শীতলতম দিন ছিল বুধবার সেই কারণে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে ছোট-বড় বিভিন্ন কাপড়ের দোকান গুলিতে গরম পোশাক কেনার ভিড় ছিল লক্ষণীয়। এদিন আবালবৃদ্ধবনিতা যথাযথভাবে পাল্লা দিয়ে দামি থেকে শুরু করে কম দামি অবদি শীতের শাল চাদর পশমের জ্যাকেট সোয়েটার মাফলার ঠান্ডা থেকে বাচার জন্য মাঙ্কি টুপি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু কিনতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে সবে শুরু আরো পড়বে ঠান্ডা এবারের শীত সবচেয়ে বেশি রেকর্ড করতে পারে আর সেই খবর জানতে পেরে সবাই গতানুগতিকভাবে দোকানগুলিতে ভিড় করছেন। এদিকে গরম পোশাক বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিক থেকে শুরু করে কর্মচারীরা কেউ বলছেন দুই দিন ধরে হিমেল হাওয়াতে যে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে তাতেই গরম পোশাকের বিক্রি বেশ জমে উঠেছে আবার অনেকেই শুধু বসে বসে দোকানের মাছি তাড়াচ্ছেন দোকানের তবে যে যাই বলুক শীতের আমেজে বেশ চনমনে আবালবৃদ্ধবনিতা কারণ তাদের গরম পোশাক কেনার উত্তেজনা দেখেই তা ঠাহর করা যাচ্ছে পাশাপাশি দোকান গুলিতে পোশাক বিক্রি হচ্ছে সেগুলো সঠিক দাম থাকায় মানুষ যথাযথভাবে সঠিক দাম দিয়ে তা কিনছেন। অন্যদিকে আরো কয়েকজন দোকানদার জানান, তাদের দোকানে ছোট থেকে বড় সবার জন্যই বিভিন্ন দামের গরম পোশাক রয়েছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত গরম পোশাক রয়েছে পাশাপাশি পোশাকের সাথে পাল্লা দিয়ে কম্বল ও লেপ বিক্রীও বাড়ছে। শীত থেকে বাঁচার জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোতেও গরম পোশাক কেনার ভীড় যথেষ্ট লক্ষনীয়, কান টুপি হাত মোজা সোয়েটার প্রায়ই সবকিছুর বিক্রী চলছে। শীত থেকে বাঁচার জন্য গ্যাটের খরচ করে হাসি মুখে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সকলে । অবশ্য এ বিক্রির জন্য যে খরিদ্দারদের ঢল নেমেছে তাতে যারপরনাই খুশি দোকান মালিক থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানদারেরাও। অন্যদিকে শীতের আমেজ কে আগলে নিয়ে পিকনিকে মজেছেন আবালবৃদ্ধবনিতা অনেকে বড় দিন শুরু হওয়ার আগেই গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পিকনিকের জন্য বেরিয়ে পড়ছেন। স্বভাবতই দেশী থেকে বিদেশী মদের দোকান গুলোতে ভিড় জমে উঠেছে। শীতের গরম পোশাক বিক্রি করে অনেকটাই এবার লাভের মুখ দেখছেন বলে জানান গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন কাপড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলি। তবে যে যাই বলুক শীতের আমেজকে আট থেকে আশি যথেষ্টভাবে স্বাগত জানিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। এদিকে রাস্তার ধারে ভাপা পিঠা বিক্রি থেকে শুরু করে ফাস্টফুডের দোকান গুলোতে গরম খাবার বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে সে সব দোকান গুলিতে এক কথায় সব মিলিয়ে শীতকে সাদর স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।