ওয়েবডেস্ক:- আজ গোটা দেশে শুরু হয়েছে অস্থির পরিস্থিতি, বিজেপির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে প্রচার গণতন্ত্র ধ্বংশকারীর তকমা।
ঢালাও উন্নয়ন সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে তাঁকে খালি হাতেই ফিরিয়েছিল জঙ্গলমহল। সোমবার সেই জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া থেকে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় নিজের সুর চড়ানো শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পুরুলিয়া টাউনে দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার পদযাত্রা শেষে গোটা দেশে বিজেপিকে ‘একঘরে’ করে দেওয়ার ডাক দেন মমতা। যেভাবে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড বিজেপির হাত থেকে ফস্কে গিয়েছে। তেমনই সব রাজ্যে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে হবে। মিছিলে নামার আগে মঞ্চ থেকে এই সুরই বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপিকে যাতে গোটা দেশে একঘরে করা যায় তার জন্য শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলই নয়, দেশের নাগরিক সমাজকেও রাস্তায় নামার অনুরোধ করেছেন মমতা। এদিনও পদযাত্রা শুরু করার আগে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণের পাশাপাশি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই কাঁসরঘণ্টা বাজিয়ে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল শুরু করেন। মমতা বলেন, ‘এনআরসির নামে দেশ থেকে মানুষকে বিতাড়িত করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। জোট বাঁধুন, তৈরি হন। সারা দেশে বিজেপিকে একা করে দিন।’
এর আগে কলকাতার রাজপথে এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন বিরোধিতায় পাঁচটি মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই ঘোষণা করেছিলেন, এবার জেলায় জেলায় একই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। সেই মত এদিন পুরুলিয়ায় পথে নামেন মমতা। বলেন, ‘যতদিন না নাগরিকত্ব আইন বাতিল হচ্ছে ততদিন আমার আন্দোলন থামবে না। আপনারা শুধু দেখে নিন ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে কিনা, বাকিটা আমি দেখে নেব।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও বলতে শোনা যায়, ‘নতুন আইনে সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এনআরসি-র নামে ভারত থেকে বিতাড়িত করার চক্রান্ত চলছে। সবাইকে বলব, জোট বাঁধুন, তৈরি হোন। যারা অন্য মানুষকে তাড়াতে চায়, ভারতবর্ষে তাদের জায়গা নেই। এটা গণতন্ত্র বাঁচানোর আন্দোলন। আজ দেশের স্বাধীনতাই বিপন্ন।’
সৌজন্য:- মহানগর