ওয়েবডেস্ক:- আবার বিভ্রান্তি মোদি অমিত শাহের ।এবার এন পি আর নিয়ে বিভ্রান্তি । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষে যেই দুই মাথা, তাদের বক্তব্যই একে অপরের সঙ্গে মিলছে না। এর আগে এনআরসি নিয়েও দু’জনের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিন্ন শুনতে পাওয়া গিয়েছিল। এবার এনপিআর নিয়েও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সংসদে দাঁড়িয়ে বাজেটের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে ফের একবার অমিত শাহের দাবিকে কাটলেন নরেন্দ্র মোদী।
সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ চলার মাঝেই এনপিআর কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যা নিয়ে জলঘোলা চরমে ওঠায় বাংলা এনপিআর বৈঠকে অংশ নেয়নি। জাতীয় নাগরিক নিবন্ধিকরণের ক্ষেত্রে বাবা-মা’র জন্মতারিখ ও ঠিকানা কেন লাগবে তা নিয়ে সরব ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সহ আরও একাধিক মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, এনপিআর তৈরির সময় বাবা-মায়ের জন্মস্থান, জন্মতারিখ, মাতৃভাষা বা শেষ ঠিকানা জানতে চাওয়া হলেও সে সব প্রশ্ন ঐচ্ছিক। কেউ চাইলে উত্তর না-ই দিতে পারেন। কিন্তু এদিন নিজের সরকারের দাবি-ই কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন নমো।
বৃহস্পতিবার সংসদে জবাবি ভাষণ দিতে উঠে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এই সমস্ত তথ্য লাগবেই। মোদীর ব্যাখ্যা, কোথায় কত ভাষাভাষী মানুষ বাস করছেন, কোন জেলা থেকে লোকে অন্যত্র কাজের খোঁজে যাচ্ছে, তা বুঝতে এ সব তথ্য দরকার।
সরকারের প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যক্তির মতের অমিল ফের একবার স্পষ্টভাবে দেশবাসীর ধন্দ যে বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য। এনপিআর নিয়ে সওয়াল জবাবের সময় বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ওরা মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। মোদীর প্রশ্ন, এনপিআর তো ২০১০-এ কংগ্রেসই এনেছিল। এখন কংগ্রেসই কেন বিরোধিতা করছে? কেন গুজব ছড়িয়ে মানুষের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে?
যদিও কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট করে হয়েছে, তখনকার এনপিআর এর এখনকার এনপিআর-এ আকাশপাতাল ফারাক রয়েছে। কিন্তু শাসক সে দাবি কানে তুলতে নারাজ। তবে এদিন যেভাবে মোদী তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহের উল্টো কথা বলেছেন, তাতে যে দেশবাসীর বিভ্রান্তি বাড়বে, তা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন।
এন আর সি নিয়ে এন পি আর আবার বিভ্রান্তি ।