ওয়েব ডেস্কা:- দিল্লীতে হিংসা ক্রমশ ছড়াচ্ছে মারাত্মক ভাবে।
বিগত পাঁচ দিন ধরে চলা দিল্লী হিংসায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন। আহত অন্তত ২০০। এবার এই হিংসার বলি ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধাও। হামলাকারীরা আকবরী নামে ওই মহিলার বাড়িতে মঙ্গলবার সকালে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাড়ির অন্য বাসিন্দারা বেরিয়ে আসতে পারলেও ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় আকবরীর।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র খবর অনুযায়ী, গরমী এক্সটেনশন ওই বৃদ্ধার বাড়ি ছিল। সংঘর্ষের জেরে উত্তাল দিল্লীতে যখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তখন ওই এলাকায় একদল দুষ্কৃতী ভাঙচুর চালাতে আসে। দোকানপাট তো ছিলই, একাধিক বাড়িও ভাঙচুর করে তারা। এই সময়ই আকবরীর বাড়িতেও তারা আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘর থেকে বেরতে না পেরে সেখানেই আটকে পড়েন ওই বৃদ্ধা। কিছু করেও তাকে বাইরে বের করতে পারেনি প্রতিবেশীরা। ওই আগুনের জেরেই ঘরবন্দি হয়ে শ্বাসকষ্টে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
বৃদ্ধার ছেলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সকাল ১১টার সময় বাচ্চারা বলে যে বাড়িতে দুধ নেই। তখন তিনি দুধ আনতে বাইরে যান। যখন তিনি বাড়ি ফেরত আসেন তখন দেখেন অন্তত ১৫০-২০০ লোক বাড়িতে চড়াও হয়েছে। তিনি বুঝতে পারেননি তারা মুসলিম না হিন্দু। বাচ্চারা বাড়ির দরজা ভেতর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল। বৃদ্ধার সঙ্গে বাচ্চারাও বাড়িতে আটকে পড়েছিল, কিন্তু বৃদ্ধা ছিলেন অন্য ফ্লোরে। ছেলে আরও জানান, তিনি তাঁর মাকে বাঁচাতে যেতে পারেননি কারণ দুষ্কৃতীরা বলেছিল যে তারা ওকে মেরে ফেলবে।
সালামির চার ছেলে-মেয়ে বেরিয়ে আসতে পারলেও ভেতরেই আটকা পড়ে যান ৮৫ বছরের আকবরী। দশ ঘণ্টা পর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। হামলাকারীরা হিন্দু না মুসলিম তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন সালামি।