নিউজ ডেস্ক:-অমানবিক টিকিট পরীক্ষকের জন্য মাথ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হল না। ট্রেনের টিকিট না থাকায় মাধ্যমিকের অ্যাডমিট দেখালেও টিকিট পরীক্ষকের হাত থেকে রক্ষা পেল না মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। জরিমানার ২৬০ টাকা দিতে না পারায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ব্যাগ টেনে নিয়ে ৫০ টাকা বার করে নেওয়ার অভিযোগও উঠল ওই টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। টিকিট পরীক্ষকের এহেন কাণ্ডে স্কুলে গিয়ে মাধ্যমিকের কর্মশিক্ষার প্রজেক্ট জমা দিতে পারল না ওই পরীক্ষার্থী। একইসঙ্গে হেনস্থা করা হয় ছাত্রীর দিদিকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বারুইপুর স্টেশনে। এর জেরে ছাত্রীর মামা বারুইপুর জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ধামুয়ার আলদে এলাকার বাসিন্দা জয়ন্তী পুরকাইত ধামুয়া আলদে বগনর হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিকের মূল বিষয়ের পরীক্ষা বুধবার শেষ হয়ে যাওয়ার পর সে বারুইপুরের বেগমপুরে মামারবাড়িতে এসেছিল। এদিন মামারবাড়ি থেকেই দিদি প্রমীলা কয়ালের সঙ্গে বেরিয়ে রাধানগর উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে নিজের অতিরিক্ত বিষয় কর্মশিক্ষার প্রজেক্ট জমা দিতে যাচ্ছিল। এই স্কুলেই তার মাধ্যমিকের সিট পড়েছে। এই প্রসঙ্গে ছাত্রীর দিদি প্রমীলা কয়াল জানায়, বারুইপুর স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলাম বোনকে নিয়ে। বোন কর্মশিক্ষার প্রজেক্ট জমা দিতে রাধানগর স্কুলে যাচ্ছিল বোন। প্রথমে ১০-৪৫ এ ট্রেন আমরা মিস করি রাস্তায় জ্যামে পড়ে গিয়ে। পরের ট্রেন ধরার কথা ছিল। এক টিকিট পরীক্ষক এসে আমার কাছে টিকিট দেখার পর বোনের কাছে টিকিট চান। বোনের কাছে টিকিট না থাকায় সে পরীক্ষার অ্যাডমিট টিকিট পরীক্ষককে দেখায়। কিন্তু, তিনি তা না দেখতে চেয়ে হেনস্থা করে জরিমানা হিসাবে ২৬০ টাকা চান। তা না দিতে পারায় বোনের ব্যাগ কেড়ে নিয়ে ৫০ টাকা বার করে নিয়ে চলে যান। আমি এর প্রতিবাদ করাতে আমাকেও হেনস্থা করা হয়। বোন আর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারল না।
এদিকে হতাশ হয়ে মাধ্যমিক ছাত্রী জয়ন্তী পুরকাইত বলেছে, টিকিট পরীক্ষকের জন্য আমি মাধ্যমিকের কর্মশিক্ষার প্রজেক্ট জমা দিতে পারলাম না। ট্রেন ধরার তাড়া ছিল। তার মধ্যে বারুইপুর স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে ভিড় থাকায় আমার টিকিট কাটা হয়নি। আমি প্রমাণ হিসাবে অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়েছিলাম। তারপরও আমার কাছে ২৬০ টাকা জরিমানা চাওয়া হয়। সেই টাকা না থাকায় ব্যাগ কেড়ে নিয়ে টিকিট পরীক্ষক ৫০ টাকা বার করে নিয়ে চলে যান। আমি পরীক্ষা দিতে যেতে পারলাম না। যদিও বারুইপুর স্টেশন টিকিট পরীক্ষকদের সাফাই, রানিং ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক এই কাণ্ড করতে পারেন। আমরা দোষী নই। স্টেশনের প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানান, মাধ্যমিক ছাত্রীকে সাহায্য করার বদলে তাকে আটকে হেনস্থা করেন ওই টিকিট পরীক্ষক। আমরা এর তদন্ত চাই।
সৌজন্য:- Mahanagar news desk