ওয়েবডেস্ক:- সোমবার রাত থেকে শুরু হয় নাটক, মঙ্গলবার দুপুর হতে হতে ক্লাইম্যাক্স শুরু। এবার আবার নাটক শুরু হতে চলেছে ,হরিয়ানা য় ।অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার পর কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ছিন্ন করলেন গত ১৮ বছরের পুরনো সম্পর্ক। সঙ্গে আবার নিয়ে গেলেন ১৯ কংগ্রেসের বিধায়ককে। তারা বিজেপিতে নাম লেখালে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। খোদ লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীও তা বুঝে গিয়েছেন। আক্ষেপের সুরে তিনি বলছেন, মধ্যপ্রদেশ হয়তো হাতছাড়া হয়ে যাবে তাদের।
এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, সিন্ধিয়াজি তো কংগ্রেসে অনেক বড় পদে ছিলেন, সম্মানও পেয়েছেন। তিনি হয়তো মোদীজির দেওয়া মন্ত্রিত্বের লোভে ফেঁসে দিয়েছেন। আমরা জানি ওঁর পরিবার বিজেপির সঙ্গে কয়েক দশক ধরে যোগাযোগে রেখেছে। তা সত্ত্বেও বলবো এটা বড় ক্ষতি। এখানে তো রাজার মতো ছিলেন। ওখানে গিয়ে সেবা করতে হবে। মধ্যপ্রদেশও হয়তো আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে যাবে।’ অধীর আরও বলেন, ‘যেই দল ওঁকে এতকিছু দিল সেই দলের সঙ্গেই বেইমানি করলেন সিন্ধিয়া। বিশ্বাসঘাতকতা করলেন।’ বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা সর্বদা এভাবেই বিরোধীদের সরকার ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে।’
প্রসঙ্গত, এদিন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বাবারও জন্মদিন। আর এই দিনই কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে সিন্ধিয়া লেখেন, কংগ্রেসের থেকে মানুষের হয়ে কাজ করতে তিনি পারছেন না। সেই কারণেই এই পদত্যাগ। এবার যে তিনি পাকাপাকিভাবে বিজেপিতেই যাচ্ছেন তাতে আর কোনও সন্দেহ থাকছে না। সব ঠিক থাকলে আজই বিজেপিতে যোগ দেবেন জ্যোতি। একই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকার গঠন হওয়াও কেবল সময়ের অপেক্ষা বলেই ধরে নেওয়া যায়।