নিউজ ডেস্ক:- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনতার কার্ফু ঘোষণার পর গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। আগামী রবিবার ‘জনতা কার্ফু’ জের ভারতীয় রেলেও। কোনও লোকাল বা দূরপাল্লার ট্রেন চলবে না ওই দিন। শনিবার মধ্যরাত থেকে পরের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন। জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ন্যূনতম লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট শাখা।
রবিবার মাঝরাত থেকে পরেরদিন রাত ১০টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ করল ভারতীয় রেল। কোন শাখায় কতগুলি ট্রেন চলবে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট শাখা। জরুরি পরিষেবা সচল রাখতে নামমাত্র লোকাল ট্রেন চলবে।
শনিবার মাঝরাত থেকে পরেরদিন অর্থাত্ রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হল ২৪০০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। তবে যে ট্রেনগুলি যাত্রাপথের মাঝপথে রয়েছে, তাদের গন্তব্য পর্যন্ত চালানো হবে। গোটা বিষয়টিতে নজর রাখবে সংশ্লিষ্ট শাখা। যে ট্রেনগুলি খালি থাকবে, সেগুলি মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হতে পারে।
২২ মার্চ, রবিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০ পর্যন্ত বাতিল করা হল দূরপাল্লার ট্রেন (মেল, এক্সপ্রেস ও ইন্টারসিটি)। তবে যাত্রাপথে থাকা দূরপাল্লার ট্রেনগুলি সচল থাকবে। যে সব ইন্টারসিটি বা দূরপাল্লার ট্রেনে প্রচুর যাত্রী সওয়ার হন, সেগুলি নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী চলবে। যাতে স্টেশনে অতিরিক্ত ভিড় এড়ানো যায়।
মাঝপথে কোনও স্টেশনে যাত্রীরা থেকে যেতে চাইলে অপেক্ষাগৃহে (Waiting Room) ভিড় এড়িয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। দেওয়া হবে পানীয় জল। টাকা দিয়ে খাবারও কিনতে পারবেন যাত্রীরা।
ট্রেন বাতিলের টাকা সহজেই ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে রেল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন ট্রেনের শাখাগুলি গোটা ব্যবস্থাপনায় নজর রাখবে। কোনও স্টেশনে যাত্রীরা আটকে পড়লে বা ভিড় থাকলে বিশেষ ট্রেন চালানোর ব্যবস্থাও করা হবে।
করোনা অতিমারী রুখতে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। ঘোষণা করেন, ”আগামী রবিবার ২২ মার্চ সকাল ৭ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকল দেশবাসীকে জনতা কার্ফু পালনের অনুরোধ করছি। ওইদিন কোনও নাগরিক ঘরের বাইরে বেরোবেন না। রাস্তায় যাবেন না। পাড়াতেও কারও সঙ্গে মিশবেন না। নিজের ঘরেই থাকুন। জরুরি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের তো বাইরে বেরোতে হবে। তবে সাধারণ নাগরিকরা দেশহিতে আত্মসংযমের কর্তব্য পালন করুন।”
সৌজন্য :- জি নিউজ