করোনাঃ কারণ,লক্ষণ,সতর্কতা ও ব্যবস্থাপনা—কী করব ও কী করব না :- ডাঃ ইয়ার আলী

Spread the love

করোনাঃ কারণ,লক্ষণ,সতর্কতা ও ব্যবস্থাপনা—কী করব ও কী করব না?

করোনা মানে একটা আতঙ্ক বলে আমরা জানি৷ ২০১৯ এর শেষ সময় থেকে গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়ার মত একটি অসুখ হল এই করোনা৷ আসুন করোনা সম্পর্কে কিছু অত্যাবশ্যকীয় কথা জেনে নিই৷

কারণ: করোনা নামক ভাইরাস থেকে এই অসুখ হয়৷ এই জীবাণুটি খুব ছোঁয়াচে৷ মানুষের মধ্যেই জুবানুটি বংশবিস্তার করতে সক্ষম৷ অর্থাৎ মানবদেহই জীবানুটির একমাত্র হোষ্ট৷ মানব দেহের বাইরেও বিভিন্ন বস্তুতে ১২-৭২ ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে৷ অধিক তাপমাত্রার পরিবেশে ( কথিত ২৩॰) বাঁচতে পারেনা৷ মানুষে মানুষে সংস্পর্শ বা মানুষগুলির সাধারণ সংস্পর্শ স্থান হলে(১২-৭২ ঘন্টার মধ্যে) জীবানুটি বস্তূ থেকে অন্য মানুষের দেহে চলে যেতে পারে৷ আবার মানুষে মানুষে দূরত্ব কাছাকাছি হলে হাঁচি বা কাশিতে ড্রপলেটের মাধ্যমেও এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে চলে যেতে পারে৷ ভাইরাসটি অনবরত জীনগত পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম বিধায় বিশেষভাবে ঔষধ দিয়ে কাজ হচ্ছেনা বলে একটা কথা রটে বেড়াচ্ছে৷ বাস্তবে, কোন ভাইরাসকে সমূলে নষ্ট করতে পারে এমন ঔষধ আগেও কখনও ছিলনা , এখনও নাই৷ প্রসঙ্গত বলা বাহুল্য যে, সকল প্রকার অটোইমিউনিটি ও জেনেটিক বা ক্রনিক অসুখ রোগ যা কিছু এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে আছে—তা কোন না কোন প্রকার ভাইরাস থেকেই হয়৷ এই তথ্যটি হয়তো অনেকেই জানেনা৷ বিধায় কোন ক্রনিক অসুখের নির্মূলীকরণ এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি৷ এটা মেডিক্যাল কমিউনিটির আম্তরিক ব্যর্থতা! তো যাই হোক, এই করোনা ভাইরাসটিও তেমনই এক দূর্বল প্রকৃতির ,খুব ছোঁয়াচে জীবাণু৷ এর মৃত্যুহারও কম৷ কিন্তূ, যেহেতু ভাইরাসটি মানব দেহে দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি করে তাই এক্যুউট সমস্যা হয়৷ এক্যুউট সমস্যা বলতে শ্বাসকষ্ট৷ শ্বাসনালীর এপিথেলিয়াম, মাসলসমূহে একটি প্রচন্ডরকম ইমিউনোলজিক্যাল যুদ্ধ হয়৷ ভাইরাসটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে হেরে যায় আমাদের শ্বাসনালীর ইমিউনিটির কাছে৷ তাইতো মৃত্যু হার কম৷ মানুষটির লিভার, শ্বাসনালী ও ইমিউনিটি পূর্ব থেকেই দূর্বল প্রকৃতির হলে ভাইরাসটি যুদ্ধে জিতে গিয়ে সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে৷ একে একে বিভিন্ন অর্গানকে নষ্ট করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়৷ অতএব, এটা ভাবার কোন কারণ নাই যে, করোনা হলেই আপনি শেষ!!!

লক্ষনঃ

বায়ু দূষণ, সাধারন সিজনাল সর্দি, ফ্লু, করোনা ভাইরাসের তুলনামূলক লক্ষনসমূহ দিলাম৷যাতে সাধারন মানুষদের অসুখ নিয়ে বেশী বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়৷
(1) dry cough + sneeze = air pollution

(2) cough + mucus + sneeze + runny nose = common cold

(3) Cough + mucus + sneeze + runny nose + body ache + weakness + light fever = flu

(4) Dry cough + sneeze + body pain + weakness + high fever + difficulty breathing = coronavirus

Pathology department AIIMS, Delhi

Make this message share to as many people as possible!

১) শুকনো কাশী+হাঁচি=বায়ু দূষন

২)কাশী +শ্লেষ্মা+হাঁচি+নাক দিয়ে জল ঝরা=সাধারন সর্দি

৩)কাশী+শ্লেষ্মা+হাঁচি+নাক দিয়ে সর্দি ঝরা+গা ব্যাথা+দূর্বলতা+হাল্কা জ্বর= ফ্লু

৪)শুকনো কাশী+হাঁচি+গা ব্যাথা+দূর্বলতা+বেশী জ্বর+শ্বাসকষ্ট=করোনাভাইরাস

ইনভেষ্টিগেশনঃ

করোনাকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিতকরণের জন্য COVID 19 PCR করা হয়৷

আরও বহুবিধ ব্লাড রিপোর্ট ও সি এস এফ করতে হতে পারে৷
CBC,LFT,IGE,RBS,Urea,Creatinine,Chest X Ray, ECG 12 leads,PFT, etc.

মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দিলে, CSF study , CT scan etc হতে পারে৷

প্রতিকারঃ যেহেতু, জীবাণুটি খুবই ছোঁয়াচে( এরকম ছোঁয়াচে আরও অনেক অসুখ আছে যেমন-টিবি,প্লেগ,কলেরা,ফ্লু, ইনফ্লুয়েন্জা ইত্যাদি), তাই

১) ড্রপলেট ঠেকাতে:
© মিনমাম ১ মিটার মানুষে মানুষে দূরত্ব বজায় রাখা
©মুখে মাস্ক পরা যখন সামনা সামনি কেউ থাকছে বা ভিড়ের মধ্যে৷
©হাঁচি বা কাশিতে মুখকে ও নাককে হাতের পিছন বা কনুই দিয়ে ঢাকা ৷
© উচ্চস্বরে কথা না বলা বা না চেঁচানো ,কারণ স্বর উচ্চ হলে ড্রপলেটের গতিবেগ বেশি হয়৷

২) মানুষে মানুষে সাধারন সংস্পর্শের স্থান মিনিমাইজ করা:
©ভিড়, জমায়েত, গ্যাদারিং এড়িয়ে চলা৷
©বাইরে থাকলে ( বিশেষ প্রয়োজনে)ঘন ঘন ওযু করা বা মুখমন্ডল,নাক, হাত কনুই পর্যন্ত,পা গোঁড়ালী পর্যন্ত—যে অঙ্গগুলি পরিবেশে বা কোন বস্তূতে সরাসরি এক্সপোজ বেশী হয় সেগুলি ঘন ঘন ধোওয়া৷ স্যানিটাইজার বা সোপ বা লিক্যুইড সোপ বা প্লেন পরিস্কার জল দিয়ে ধোয়া৷
©বাহির থেকে এলে, চাপড় চোপড় কেচে দেওয়া বা ভিজিয়ে রাখা৷
©দোকান থেকে কিনে আনা যে কোন দ্রব্যকে ধুয়ে ফেলা৷

৩) মনের জোর বাড়ানোঃ

মনের মধ্যে আনন্দ,খুশি, উৎফুল্লতা, সুখচিন্তা,তুষ্টি,কৃতজ্ঞতা,সুসম্পর্ক, ভালবাসা, নিরহঙ্কার,অহিংস প্রভৃতি ভাল ভাল সৎগুণের আবির্ভাব হলে নিজের অজান্তেই সুপ্রারেনাল গ্লান্ড থেকে নিঃসৃত এড্রিনালিন ( এপিনেফ্রিন,নর এপিনেফ্রিন) পরিমিত ও উৎকৃষ্টমানের হয়৷ দেহের লিম্ফোসাইট সেলগুলিকে সতেজ করে ৷ দেহের প্রত্যেকটি অর্গানের ব্লাড পারফিউশন বাড়িয়ে দেয়৷ রক্তে অক্সিজেন ডেনসিটি বাড়িয়ে দেয়৷ দেহকে ভিতর থেকে শক্তিশালী ও মজবুত করে৷
বিপরীতে, মনের মধ্যে ভয়, রাগ,অহঙ্কার,লালসা,ঘৃনা,বিদ্বেষ,কৃতঘ্নতা, সকল প্রকার খারাপি চিন্তা থাকে—তবে নিজের অজান্তেই সুপ্রারেনাল গ্লান্ড থেকে নিকৃষ্টমানের,ক্ষতিকর ও প্রচন্ড এসিডিক এড্রিনালিন নিঃসৃত হয়৷ যেটা প্রত্যেকটা কোষকে ঝলসিয়ে দেওয়ার মত দূর্বল ও অকেজো করে দেয়৷ ইমিউনিটি কমে যায়৷ দেহটাকে ভিতর থেকে দূর্বল ও হীন করে দেয়৷

৪) Liquid Zinc Sulphate 20 mg /ml
Brand-Zinic ,Zinconia,Z&D

daily 2 ml thrice daily

৫) B12 ( Adenosycobalamine with methylcbalamine)
Brand-Neurokind OD, Mecobal plus, Myzen Plua, Incobal Plus, Rejuneuron forte
1500mig daily or more

৬)L Lycine -large doses
Brand-Vitadel LZ, Many multivitamins syrup.
375 mg/5 ml

2 gm per day

৭) Vitamin C 500 mg
Brand-Limcee

4 gm per day

৮) Lemon Balm

Brand -AS SHIFA

500 mg twice daily

৯) Cat’s Claw

Brand -AS SHIFA

500 mg twice daily

১০) Spriluna

Brand- AS SHIFA
500 mg daily

১১) Golden Seal

১২)এই খাদ্যগুলি এড়িয়ে চলা:
* হাই ফ্যাট*হাই প্রোটিন*ডিম*দুধজাত দ্রব্য*গ্লুটেন*সয়াবিন*সাদাতেল*ভূট্টা*MSG*Aspertame

১৩) দৈনিক প্রচুর শব্জী ফল মাছ খাওয়া, মধু খাওয়া, কালোজিরে খাওয়া,খেজুর খাওয়া, শশা,লেবু,আদা, সেলেরি প্রভৃতি খাওয়া৷

১৪) লাইট এক্সারসাইজ যাতে রক্তের চর্বি কমে ও রক্তে অক্সিজেন বৃদ্ধি পায়৷

ট্রিটমেন্টঃ কোন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে নিম্নোলিখিত ভাবে অনুসরন করবেনঃ

নিজেকে আইসেলেশন করে রাখবেন৷ বাড়ীতে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকবেন যদি করোনার সিম্পটমস না থাকে অথচ এক্সপোজ হিস্টরি আছে৷ ১৪ দিন নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখবেন৷
সর্দি হলে—Levocertizine 5 mg daily খাবেন ৫-৭ দিন
কাশি হলে—Levocetrizine plus monteleukast or ambroxol ,Guiphenacin

গলা ব্যাথা হলে—Oro T gargle করবেন

জ্বর বা গা ব্যাথা হলে —Pyrigesic 1 gm দিনে তিনবার খাবেন
হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট হলে যা কোন দিন হয়নি— নেবুলাআজেশন ডুওলিন,বুডেকর্ট, খুব বেশী হলে ভেন্টিলেটর৷

ইমেডিয়েট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন৷

সিম্পটোম্যাটিক ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি—

Zinc Shock Therapy -Very effective

2 dropperfull(2ml) on throat and let it sit there for 2 minutes and ingest . every 3 hourly for 2 days.

Within 2 days almost RTI will vanish if actually from Virus.******

Vitamin C shock therapy

1 gm each 4 hourly 2 days.

ইমশাল্লাহ! উপরিউক্ত পথ ও পন্থায় আমরা করোনা থেকে নিরাময় পাব৷ আল্লাহ এমন কোন রোগ পাঠান না, যার চিকিৎসা পাঠান না৷ যদি রোগ ও রোগী অনুযায়ী সঠিক ওষধ প্রয়োগ করা হয় তবে, রোগটি আল্লাহর ইচ্ছায় নিরাময় হয়ে যায়৷( সহিহ মুসলিম)

(বিঃ দ্রঃ আমার নিজস্ব গবেষণা ও তথ্যনির্ভর লিখনি৷ ইন্টারন্যাশনাল ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল ভিন্ন হতে পারে৷ এতে আমি ব্যক্তিগতভাবে আত্মবিশ্বাসী৷)

Dr.Md Year Ali Sk
Medical Officer, West Bengal Health Service

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.