নিউজ ডেস্ক:- বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে দৈনিক অন্তত পাঁচবার হাত-মুখ ধোয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সহ বিশ্বের প্রায় সকল স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র ও সংগঠনের প্রধান শিরোনামে পরিণত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড মিটার ইনফো’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চীন তাদের নিজস্ব ভূখণ্ডে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে একরকম বন্ধ করে দিতে সফল হয়েছে। এ যাবৎ (লকডাউন তুলে নেওয়ার পর থেকে) সেখানে করোনার মাত্র ৫৫টি পজিটিভ কেইস এর খবর পাওয়া গেছে।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, কিছু ইসলামি রাষ্ট্রসহ চীন ও তাদের বাস্তব তথ্য গোপন করছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনার সংক্রমণের প্রকৃত পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি যে, করোনার একমাত্র কার্যকরী প্রতিষেধক হলো বারবার হাত ধোয়া। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর নিয়মমাফিক সাবান দ্বারা হাত ধুয়ে নেন, তাহলে আপনি করোনার সর্বোত্তম প্রতিষেধকটি গ্রহণ করছেন। এটিই হলো করোনার ক্রমবর্ধমান বিস্তার ঠেকানোর একমাত্র ফলপ্রসূ পন্থা।
এ অভ্যাসটি আপনাকে ও আপনার পরিচিত জনদের করোনা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার হাত ধোয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে একটি বুলেটিনও ছেপেছে।
মুসলমান হিসেবে আমরা প্রত্যহ নামাজ আদায়ের পূর্বে পাঁচবার হাত-মুখ ধৌত করি। নামাজ আদায়ের পূর্বে বিধিবদ্ধ এ প্রক্ষালনকে ইসলামি পরিভাষায় অজুু বলা হয়।
পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সালাত আদায়ের পূর্বে আমাদেরকে দৈনিক পাঁচবার ওযু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এককথায় আপনি যদি মনে করেন, ইসলাম ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করে না, তাহলে এটা হবে চরম ভুল। কেননা বিজ্ঞান ও মনস্তাত্ত্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় নিঃসন্দেহে ইসলামই হলো একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
তাই বাস্তবিকই আজ পাঁচবার হাত ধোয়াকে করোনা র এক রকম প্রতিষেধক বলা যেতে পারে।