ডিজিটাল ডেস্ক::- প্রাক্তন রির্জাভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর রঘূরাম রাজনের পর এবার অভিজিৎ বিনায়ক বললেন গরিবদের টাকা দেওয়া প্রয়োজন।
লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের বেলাইন অর্থনীতিকে লাইনে ফেরাতে বেনজির পরামর্শ দিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Banerjee)। অন্য অর্থনীতিবিদরা সাধারণত যাতে আপত্তি জানান, সেটাই করার পরামর্শ দিলেন অভিজিৎ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মতে দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে পড়া থেকে বাঁচাতে গেলে সাধারণ গরিব মানুষের পকেটে প্রচুর টাকা দিতে হবে। সেজন্য যদি অতিরিক্ত টাকা ছাপাতেও হয়, তাতেও পিছপা হওয়া উচিত নয়।
বুধবার বাণিজ্যসভা FICCI আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, “প্রথাগত পথে সাবধানতার পন্থা অবলম্বন করে এত বড় অর্থনৈতিক সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে না। বাজারে চাহিদার যাতে ঘাটতি না দেখা যায়, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে গরিবদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো উচিত। তাতে মুল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দেবে কিনা, সেসব ভাবার সময় এখন নয়। এই অবস্থায় বাজারে চাহিদা না বাড়াতে পারলে ভবিষ্যতে এর চরম মাশুল দিতে হবে।” অভিজিতের স্ত্রী এস্তার দুফলোও (Esther Duflo) তাঁর সুরেই কথা বললেন। তাঁর মতে, ভারতে জন-ধন অ্যাকাউন্টের পরিকাঠামো সরকারের কাছে আছে। তা ব্যবহার করা উচিত।
করোনার হামলার আগে থেকেই ভারতের অর্থনীতি ধুঁকছিল। করোনার মারে তা পুরোপুরি স্তব্ধ। শিল্প থেকে কৃষি সব ক্ষেত্রেই বন্ধ উৎপাদন। অনেক রেটিং এজেন্সিই বলছে চলতি অর্থবর্ষে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে পারে ভারতের সার্বিক বৃদ্ধির হার। এই পরিস্থিতিতে যেনতেনপ্রকারেণ গরিবকে টাকা দেওয়াই বাঁচার উপায় বলে মনে করছে নোবেলজয়ী দম্পতি। অভিজিৎবাবু বরাবরই অর্থনীতিকে সচল রাখতে গরিব মানুষকে সরাসরি টাকা দেওয়ার পক্ষে। তাঁর মতে, এতে বাজারে চাহিদা বাড়বে। চাহিদা বাড়লেই উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান দুটোই বাড়বে। তবে এক্ষেত্রে মুশকিল হল অনেক অর্থনীতিবিদই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অতিরিক্ত টাকা ছাপার বিরোধী। কারণ, এতে মুল্যবৃদ্ধি একটা বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।