প্রতিবেদন ,অয়ন বাংলা:- গোটস বিশ্ব আজ করোনা কারনে ভয়া বহ অথনৈতিক বিপযয়ের দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে,এই মূহূর্তে,দরকার বুদ্ধিদ্বীপ্ত অ্থনৈতিক ,সিদ্ধান্ত।
বিনামূল্যে শুধু খাদ্যশস্য দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, যথেষ্ট নয়।
অন্যান্য আরো অনেক দরকারী জিনিস কিনতে হয় তাদের। তার জন্য অর্থের প্রয়োজন। মানুষের হাতে অর্থ দিতে হবে। গ্রাম বাংলার ক্ষেত্রে একশো দিনের যে কাজ হয়, সেটা অন্তত এই বছরের জন্য একশো পঞ্চাশ দিন করে দেওয়া হোক। একইভাবে শহরাঞ্চলে একশো দিনের অনুরূপ যে সমস্ত কাজে শ্রমজীবী মানুষরা অংশ নিতে পারেন যেমন, জল নিকাশী ব্যবস্থা, রাস্তা ঠিক রাখা সেরকম কাজ চালু করা হোক।” করোনা জনিত পরিস্থিতিতে দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি বাঁচাতে এক ভিডিও বার্তায় সরকারকে এই পরামর্শ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ডঃ অসীম দাসগুপ্ত।
ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই পরিকল্পনার জন্য কত ব্যয় হবে ও কিভাবে তা জোগাড় করবে সরকার তাও বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন তিনি। তাঁর মতে, এই বছরের জন্য একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে একশো পঞ্চাশ দিন করলে অতিরিক্ত ত্রিশ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি অর্থ লাগবে। শহরাঞ্চলের শ্রমিকদের জন্য অনুরূপ কোনো কাজের উদ্যোগ নিলে, ছ’মাসের জন্য তাতে ব্যয় হবে প্রায় কুড়ি হাজার কোটি টাকা। দেশের ক্ষুদ্র-মাঝারী ব্যবসায়ীদের বর্তমান আর্থিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি ভর্তুকি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে এই সমস্ত উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে এবং এর জন্য বর্তমান অর্থবর্ষে সরকারের ব্যয় হবে অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
কিন্তু এই অর্থনৈতিক মন্দার বাজারে এই বিশাল পরিমাণ অর্থ আসবে কোথা থেকে? তারও উপায় বলে দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান বাম নেতা। তিনি বলেন, “ভারতের সবথেকে ধনী শিল্পপতিদের কর্পোরেট আয়করে প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকার ছাড় ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। শিল্পপতিদের ছাড় দেওয়া হবে কেন? তাঁদের তো অনেক টাকা আছে। সাধারণ মানুষের অর্থ এই সময় ওনাদের দিয়ে দিল কেন্দ্র সরকার? এই বছরের জন্য শিল্পপতিদের দেওয়া বাড়তি কর ছাড়ের ঘোষণা তুলে নিতে হবে সরকারকে। তাহলেই ওই পরিমাণ অর্থ অন্য কাজে লাগানো যাবে।”
তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সরকার শিল্পপতি কর ছাড়ের ঘোষণা তুলে নেবে না। সেক্ষেত্রে এই বিশাল পরিমাণ অর্থের জোগাড় হবে কিভাবে? তারও উপায় বলেছেন অর্থনীতিবিদ অসীম দাশগুপ্ত। ঘাটতি বাজেটের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি সরকারকে। তাঁর মতে, দেশে এখন চাহিদার অভাব। বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি হলে ভালো। এতে মূল্যবৃদ্ধি হবে না। বরং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হবে।