ডিজিট্যাল ডেস্ক:- গোটা দেশ যখন করোনা আক্রান্তের সেবা করছে ,পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার ব্যাবস্থা করছে সেই সময় মিমের বিধায়কের এই রকম কথা বলা যুক্তরাজ্য পরিকাঠামোর দেশে আইন বিরুদ্ধ ,অনৈতিক। করােনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য রাজ্যের মতাে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ ও চারমিনার এলাকায় আটকে পড়েছেন বহু সংখ্যক বাঙালি শ্রমিক ও কারিগর। বন্ধ হয়েছে ট্রেন চলাচল সহ সব ধরনের গণপরিবহণ ব্যবস্থা। ফলে তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। অন্যদিকে হােটেল – রেস্তরাঁ বন্ধ থাকার ফলে করুণ অবস্থায় রয়েছেন। খেয়ে না খেয়ে কোনও ক্রমে দিনাতিপাত করছেন। স্থানীয় বিধায়ক তথা আসাদুদ্দিন ওয়েসীর দল মিম নেতা মুমতাজ খানের সঙ্গে যােগাযােগ করা হলেও মেলেনি সাহায্য। বরং শুনতে হয়েছে , ‘বাঙালিদের সাহায্য করতে পারবনা।’ এমন কথাই বলছেন সেখানে আটকে পড়া শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য , করােনা রুখতে দেশজুড়ে হঠাৎ করেই জারি হয়েছে লকডাউন। ফলে ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছেন বহু বাঙালি। অন্যান্য রাজ্যের মতাে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ – চারমিনারেও সহস্র বাঙালি আটকে পড়েছেন। জানা গিয়েছে, হাওড়া , হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার বহু মানুষ কেউ সােনার গয়না বা রােখা তেরির কারিগর কেউবা জরি শ্রমিক। তাদের মধ্যে অধিকাংশই সংখ্যালঘুসম্প্রদায়ের।
লকডাউনের ফলে বন্ধ হয়েছে খাওয়ার মেস , হােটেল বা রেস্তরাঁ। ফলে না খেয়ে মরার মতাে অবস্থা তৈরি হয়েছে বলেই আর্তি জানাচ্ছেন বাঙালি শ্রমিকরা। মুদিখানা ছাড়া কোনও দোকান খােলা নেই ফলে বাইরে গিয়ে খাওয়ার মতােও পরিস্থিতি নেই। এমন অবস্থায় স্থানীয় মিম বিধায়কের দ্বারস্থ হলে সাহায্য পাওয়া তাে দূরের কথা , বাঙালি শ্রমিকদের জন্য কিছুই করতে পারবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিধায়ক মুমতাজ খান। একইভাবে যুক্তপুর ও বাহাদুরপুরের মিম বিধায়কও ফিরিয়ে দেন। তাঁরা কিছুই করতে পারবেন না, যা করার স্থানীয় কাউন্সিলর করবেন বলে জানানাে হলেও স্থানীয় কাউন্সিলররাও কিছুই করছেন না। এমনই অসহায়ত্বের কথা জানাচ্ছেন হায়দরাবাদ – চারমিনারে আটকে পড়া শেখ আকবর আলি ও অন্যান্যরা।
বাঙালি শ্রমিকরা যে ত্রাণ পাচ্ছেন না এবং অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছেন সে কথা জানাচ্ছেন এসটি, এসসি, ওবিসিদের নিয়ে কাজকরা একসংগঠনের নেত্রী শ্রীমতি কৃষ্ণা মালিক। তিনি বলেন , খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছেন বাঙালি ভাইয়েরা। অভিযােগ, সেখানকার সরকারের তরফে ত্রাণের কথা ঘােষণা করা হলেও প্রায় ৯০ শতাংশ শ্রমিক বাদ পড়েছেন। তাদের দাবি, স্থানীয় লােকেদের দিয়ে নয় বরং অবিলম্বে বাঙালি শ্রমিক বা সােসাইটির মাধ্যমেই ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হােক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মানবিক মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তারা। (সৌজন্য-পুবের কলম)