ইসলামোফোবিয়া প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বললেন “ভারত মুসলমানদের জন্য স্বর্গ “

Spread the love

নিউজ ডেস্ক:- এবার মুখ খুললেন মোদীর সংখ্যালঘু মন্ত্রীী বললেন ভারত মুসলমানদের জন্য স্বর্গ এবং এই দেশে তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষিত! মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি (Union Minister Mukhtar Abbas Naqvi) এমনই মন্তব্য করেছেন। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (Organization of Islamic Cooperation) ভারত ‘ইসলামোফোবিয়া’য় আক্রান্ত এই মন্তব্য করার পরেই পালটা জবাবে একথা বলেন নকভি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে মুখতার আব্বাস নকভি বলেছেন, “ভারতের মুসলমানরা সমৃদ্ধ। যারা এই পরিবেশ নষ্ট করতে চান তারা ওঁদের বন্ধু হতে পারেন না।”

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC) রবিবার এক বিবৃতিতে ভারতকে মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় ‘জরুরি পদক্ষেপ’ গ্রহণ এবং দেশে ‘ইসলামোফোবিয়ার’ ঘটনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল।

একটি টুইটে ওআইসির স্বতন্ত্র স্থায়ী মানবাধিকার কমিশনও বলে যে ভারতীয় গণমাধ্যম মুসলমানদেরকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরছে এবং তাদেরকে বৈষম্যের শিকার করে তুলছে।

ওআইসির সমালোচনা সম্পর্কে জানতে চাইলে, কেন্দ্রের একমাত্র মুসলিম মন্ত্রী নকভি বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবেই আমাদের কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী যখনই বক্তৃতা দেন, তিনি ১৩০ কোটি ভারতীয়র অধিকার ও কল্যাণের কথা বলেছেন। কেউ যদি এটা না বোঝে, তবে এটা তাদের সমস্যা।”

মুসলমান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করার এবং ৯,০০০ জনের সমাবেশ আয়োজন করায় দিল্লির মারকাজ নিজামুদ্দিনের বিরুদ্ধে সমস্ত সতর্কতা উপেক্ষা করার অভিযোগ ওঠে। রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে তবলিগি সদস্যদের শনাক্ত করার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণ্য পোস্টও করা হতে থাকে মুসলিমদের লক্ষ্য করে।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে কোনও ধরনের বৈষম্যের সমালোচনা করে জানান, কোভিড-১৯ মহামারী সবাইকে সমানভাবে প্রভাবিত করে। প্রধানমন্ত্রী লিঙ্কডইনের একটি পোস্টে বলেন, “কোভিড-১৯ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা বা লিঙ্গ দেখে না। তাই আমাদের প্রতিক্রিয়া ও আচরণে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বময়তা যুক্ত হওয়া প্রয়োজন।”

সৌজন্য:- এন ডি টিভিি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.