নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা :-জোটের জট আরোও ঘোঁট পাকিয়ে গেল।কংগ্রেস সি পি এম এর নিজেদের একগুঁয়েমি আর দিশাহীন আলোচনা জোট আজ বিশ বাঁও জলে । রায়গঞ্জ হারানোর ক্ষত ভুলতে পারছেন না দীপা দাশমুন্সি। প্রথম থেকে ওই আসনটি দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু ওই আসনটি হাইকম্যান্ডের নি্র্দেশে সিপিএমকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় কংগ্রেস। দীপার কথায়, ”রায়গঞ্জে একা লড়াই হলে আমরাই জিতব। দিল্লিকে জানিয়ে দেওয়া হোক। অনেক হয়েছে আর জোটের দরকার নেই। জোট বা আসন সমঝোতা চাই না। এত অপমানের পরেও কীসের জোট?”
শুভঙ্কর সরকার বলেন, ”রাহুল গান্ধী নিজে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তার পরেও রাজ্যে সিপিএম নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথা না শুনে আমাদের অপমান করে চলেছে। নিজেদের ইচ্ছা মতো সব কিছু করছে। আমার মনে হয় দিল্লিকে প্রদেশ জানিয়ে দিক, এভাবে আসন রফা সম্ভব নয়”।
আবু হাসেম খান চৌধুরীর মতে, যেখানে আমাদের ক্ষমতা আছে, সেখানে আমরা প্রার্থী দেব। যে আসনে ক্ষমতা নেই লড়াই করব না, অপমানিতহয়ে আসন সমঝোতা করে কি লাভ বৈঠকে সিপিএম তথা বামেদের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন দীপা দাশমুন্সি। সিপিএমের এত অপমান কংগ্রেস সহ্য করছে কি করে? কেন? ওরা ২৫টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিলো! তারপরও আলোচনা চলছে বলছেন বিমান বসু। এআইসিসি আমাকে ও অধীরকে ডেকে চুপ থাকতে বলল, আমরা চুপ করে গেলাম। আমরা প্রথম থেকে বলে এসেছি সম্মান বজায় রেখে জোট করা যেতে পারে কিন্তু তারপরেই সিপিএম এত দূর এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাল, কিন্তু আমরা যেখানে ছিলাম সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি। দীপার দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী গোটা দক্ষিণবঙ্গ ছেড়ে দিয়েছিল কংগ্রেস। বামেদের প্রার্থী তালিকায় তো উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের পতাকা কোথাও দেখা যাবে না। শুধু মালদহ আর মুর্শিদাবাদ ছাড়া হয়েছে। এটা কি ভবিষতের জন্য ভাল হচ্ছে? আমার তো মনে হয় এক্ষুনি কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে রাহুল গান্ধীকে জানিয়ে দেওয়া হোক। আমরা ১১ কি ১৩টি আসন পাব। এটা ঠিক নয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও তিতি বিরক্ত হয়ে হাইকমান্ড্যকে জানানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।রাজ্যে আজ জোটের জট কি আদৌও ছাড়বে?