লক ডাউনে প্রকাশ্যে সরষের তেলের কালোবাজারি বেহালায়,
পরিমল কর্মকার,বেহালা,কোলকাতা:- লকডাউন বন্ধের সুযোগ নিয়ে বেহালায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সরষের তেল অত্যাধিক দামে বিক্রি করছে। এনিয়ে বেশ কিছু স্টেশনারি ও মুদী দোকানে প্রায় দিনই লেগে রয়েছে খদ্দের আর দোকানদারের মধ্যে বাক বিতণ্ডা। এতসব সত্ত্বেও প্রশাসনের নীরবতা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। বহু মানুষের অভিযোগ, প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকায়।
উল্লেখ্য, লকডাউন বন্ধের আগেও বিভিন্ন কোম্পানির সরষের তেলের ১ লিটার প্যাকেটের দাম ছিল ৯৫ টাকা থেকে শুরু করে ১১০ টাকার মধ্যে। কিন্তু এই বন্ধ শুরু হতেই বেহালায় একশ্রেণীর দোকানদার ১ লিটার সরষের তেলের দাম নিচ্ছেন কোথাও ১৪০ টাকা আবার কোথাও বা ১৫০ টাকা। এনিয়ে প্রায় প্রতিদিনই চলছে দোকানদার আর খদ্দেরের মধ্যে তর্কাতর্কি ও বাকবিতণ্ডা।
প্রসঙ্গত: দীর্ঘদিন টানা বন্ধের জেরে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন সংকটের মুখে। তারপর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের অবস্থা তো আরও ভয়াবহ। এমনিতেই নুন আনতে পান্তা ফুরোচ্ছে। তার উপর দোকানদাররা সরষের তেলের দাম অত্যাধিক নেওয়ার ফলে আমজনতার হেঁসেলে কোপ পড়েছে বলে অভিযোগ।বেহালার কিছু দোকানদার বলছে তাদের বেশী দাম দিয়ে সরষের তেল কিনতে হচ্ছে। অথচ বেহালার সন্নিকটে কবরডাঙ্গা কিংবা কেওড়াপুকুর বাজারে সরষের তেলের ১ লিটার প্যাকেটের দাম ১০০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে। প্রশ্ন উঠছে, কবরডাঙ্গা, কেওড়াপুকুর বাজারে যদি সরষের তেলের দাম ১০০ টাকা থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে থাকে তাহলে বেহালায় কেন দাম বেশী হবে ?
অভিযোগ, বেহালা বাজার ও সংলগ্ন সমগ্র এলাকায় প্রকাশ্যে এইভাবেই চলছে সরষের তেলের কালোবাজারি। ক্ষোভের সঙ্গে অনেকেই বলছেন, প্রকাশ্যে কালোবাজারির রমরমা চললেও প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকায়।
এব্যাপারে ১৩ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। বেহালার অন্যতম ব্যবসায়ী সমিতি তথা সাউথ সুবার্বন ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক অরুণ ঘোষকে এব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অঞ্জন দাস অবশ্য বলেন, “আমার কাছেও খবর আছে বেহালায় দোকানদাররা সরষের তেলের দাম বেশি নিচ্ছে। তবে এই ব্যাপারটা আমার এক্তিয়ারের বাইরে। তাই বিষয়টা আমি অবশ্যই উচ্চতর পর্যায় জানাবো।”