গোটা রাজ্য জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে .কিন্তু জনবহুল জেলা মুর্শিদাবাদে আশার খবর এখনও করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নেই ।দুশো জনেরও বেশী টেষ্ট করা হয়েছে .সব গুলিই নেগেটিভ রির্পোট এসেছে।
মুর্শিদাবাদে জেলা প্রশাসন বলছে, জেলা থেকে পাঠানো কোনও নমুনার টেস্টিং রিপোর্ট কোভিড-১৯ পজিটিভ আসেনি এখনও পর্যন্ত। সালারের এক বাসিন্দার টেস্টিং রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল বলে খবর। তবে তাঁর লালারসের নমুনা জেলার কোনও হাসপাতাল পরীক্ষার জন্য পাঠায়নি। তিনি ব্যক্তিগত অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুর এলাকার এক হাসপাতালে। তাঁর মূল অসুস্থতার পাশাপাশি অন্য কিছু উপসর্গ দেখে সেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। তখন সেই হাসপাতালের তরফ থেকেই ওই ব্যক্তির কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা হয়। ওই ব্যক্তির বাইরে মুর্শিদাবাদ জেলার কোনও বাসিন্দারই টেস্টিং রিপোর্ট এখনও পজিটিভ আসেনি বলে জেলার স্বাস্থ্য দফতরের দাবি।
ঠিক কত জনের নমুনা এখনও পরীক্ষা করিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য দফতর? মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং নাইসেড সূত্রের খবর, মোট ২১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত। তাঁদের কারও রিপোর্টই পজিটিভ নয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস অবশ্য নমুনা পরীক্ষার ওই সংখ্যা সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। সংখ্যাটা আরও বেশি, নাকি কম, কোনও বিষয়েই তিনি মন্তব্য করতে চাননি। তবে কারও রিপোর্টই যে পজিটিভ নয়, সে কথা তিনিও জানিয়েছেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমওএইচ) কথায়, ‘‘আগে আমরা নমুনা শুধু নাইসেডে পাঠাচ্ছিলাম। কারণ আমাদের এখানে টেস্টিং হচ্ছিল না। পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও টেস্টিং চালু হয়েছে। ফলে এখন আর নমুনা বাইরে পাঠাতে হচ্ছে না। কিন্তু নাইসেড হোক বা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ, যত পরীক্ষা আমরা করিয়েছি, সব রিপোর্টই নেগেটিভ।’’
মুর্শিদাবাদ জেলার এই পরিসংখ্যানের কারণেই এক বারের জন্যও সে জেলার নাম রেড জোনে ঢুকেনি । অথচ জনঘনত্ব সে জেলায় যথেষ্টই। এবং মুর্শিদাবাদ থেকে দেশের নানা প্রান্তে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যাও প্রচুর হওয়ায় গোটা বছরই দেশের নানা প্রান্ত থেকে মুর্শিদাবাদে লোকজনের যাতায়াত লেগেই থাকে।
শেষ পযন্ত কি হয় এখন সেটাই দেখার কিন্তু জনমানসে করোনা আতঙ্ক ভয় কিন্তু লেগেই রয়েছে।
সৌজন্য:- আনন্দ বাজার পত্রিকা