উত্তরপ্রদেশে করোনা’ বলে কটাক্ষ করে মুসলিম যুবককে বেধড়ক মার

Spread the love

মুসলিম যুবককে ‘করোনা’ বলে কটাক্ষ করে বেধড়ক মারধর, উত্তেজনা উত্তরপ্রদেশে

ওয়েব ডেস্ক :- গোটা বিশ্ব আজ মারণ ভাইরাসে আতঙ্কে .দিশেহারা .প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা এ রকম এক পরিস্থিতিতে উত্তর প্রদেশে ঘটে গেল এক অমানবিক ঘটণা। নিন্দায় মুখর বুদ্ধিজীবিরা । করোনাতঙ্কে কাঁপছে গোটা পৃথিবী। শত চেষ্টা সত্ত্বেও আটকানো যাচ্ছে ভয়াবহ এই মহামারির প্রকোপ। যতদিন যাচ্ছে ততই বহুরূপী এই ভাইরাসের করাল কামড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠছে চারদিকে। সেই সবের মাঝেই ধর্মীয় ভেদাভেদ ছড়ানোর চেষ্টা করছে কিছু ধান্দাবাজ মানুষ। তারই একটি প্রমাণ দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। করোনা বলে কটাক্ষ করে এক মুসলিম যুবককে বেধড়ক মারধর করল একদল দুষ্কৃতী। আক্রান্ত ২৫ বছরের ওই যুবকের নাম আবদুল সামাদ। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের শিবপুরী এলাকার বাসিন্দা আবদুল একটি ওষুধের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু দুষ্কৃতী। তারপর আবদুল নিজের শরীরে করোনার জীবাণু বহন করার পাশাপাশি এলাকায় তা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে বেধড়ক মারধর করতে আরম্ভ করে। এর জেরে কিছুক্ষণ বাদে অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তার উপরে লুটিয়ে পড়েন আবদুল। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় মালখান সিং জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভরতি করেন। পরে অবস্থার উন্নতি হলে কিছু শারীরিক পরীক্ষার জন্য আবদুলকে জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আক্রান্ত যুবকের বাবা লাইকুর রহমানের অভিযোগ, রমজানের উপোস করার জন্য শরীরে অস্বস্তি হচ্ছিল আবদুলের। তাই শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি দোকানে কিছু ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। সেসময় বিনা কারণে কয়েকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আবদুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে না পৌঁছলে তাঁর মৃত্যুও হতে পারত।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার জেরে ছ’জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত করার পাশাপাশি তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

আমরা আর কত অমানবিক হব ।উঠছে প্রশ্ন ।

সৌজন্য:- সংবাদ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.