করোনা মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে চতুর্থ পর্বের লকডাউনের ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক :- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিলেন ।ঘোষণা করলেন আর্থিক প্যাকেজ ।
বললেন ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চার মাস হয়ে গেল। করোনায় প্রাণ হারানো সকলকে আমার সংবেদনা জানাই। একটা ভাইরাসকে বিশ্বকে তছনছ করে দিল। আমি এই ধরনের বিপদ আগে কখনও দেখিনি, শুনিওনি। এই সংকট অভূতপূর্ব। কিন্তু হেরে যাওয়া মানুষ স্বীকার করবে না। সতর্ক থেকে সব নিয়মের পালন করে আমাদের সুরক্ষিতও থাকতে হবে, এগোতেও হবে। বিশ্ব যখন সংকটে তখন নিজেদের সংকল্প আরও মজবুত করতে হবে। আমাদের সংকল্প এই সঙ্কটের থেকেও বড় হবে।…’
‘যখন করোনা শুরু হল তখন ভারতে পিপিই ও এন৯৫ মাস্ক ছিল না। এখন রোজ দেশেই দু লক্ষ পিপিই ও মাস্ক তৈরি হয়। এটার কারণ ভারত এই সংকটকে সুযোগে রূপান্তরিত করতে পেরেছে। ভারতের আত্মনির্ভতায় সবার চিন্তা শামিল থাকে। যা গোটা বিশ্বকে পরিবার মনে করে সবার মঙ্গল কামনা করে। ভারতের কাজের প্রভাব বিশ্ব কল্যাণের উপর সর্বদা প্রভাব ফেলেছে। যক্ষা হোক বা পোলিও। ভারতের যে কোনও কাজের প্রভাব গোটা বিশ্বে পড়ে। মানব জাতির কল্যাণের জন্য ভারত অনেক ভালো করতে পারে। এটা গোটা বিশ্ব বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। কীভাবে? ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আত্মনির্ভরতার সংকল্প সেটা করতে পারে।’
জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সংক্ষিপ্তসার দেখে নেওয়া যাক একনজরে
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের বাঁচতে হবে, এগোতেও হবে।
করোনার বিরুদ্ধে রুখেও দাঁড়াতে হবে।
আমাদের আরও দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে।
আমাদের আরও আত্মনির্ভর হতে হবে।
রাষ্ট্র হিসাবে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দাঁড়িয়ে আছি।
এই সঙ্কট ভারতের জন্যে নতুন সংকেত নিয়ে এসেছে।
আমাদের নতুন সংকল্প এনে দিয়েছে।
ভারতের সংস্কার ও সংস্কৃতিবিশ্ব এক পরিবারের কথা বলে।
ভারত এখন PPE এবং 95 মাস্ক তৈরি করছে।
একুশ শতক ভারতেরই।
আত্মনির্ভরশীলতা এবং মানবনির্ভরশীলতা একসঙ্গে চলছে।
যে সংস্কৃতি পৃথিবীকে মা বলে ভারত সেই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী।
ভারতের সব জনকল্যাণমূলক কাজ বিশ্বে প্রভাব ফেলে।
বিশ্বজুড়ে ভারত প্রশংসা পাচ্ছে।
দেশে চাহিদা বাড়ানোর জন্যে যোগান বাড়াতে হবে।
করোনা মোকাবিলায় ২০লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা। মধ্যবিত্ত ও শ্রমিকের কাজে আসবে এই প্যাকেজ। ভারতের জিডিপির ১০ শতাংশ এই আর্থিক প্যাকেজ।
সব নিয়ম মেনে চলতে হবে।
আমরা সংকল্প নিলে কোনো কাজ অসম্ভব নয়।
স্বনির্ভর ভারত গড়তে হবে।
কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্পতে কাজে আসবে এই প্যাকেজ।
সব ভারতবাসীকে লোকালের জন্য ভোকাল হতে হবে।
২০২০ সালে বিকাশ যাত্রায় নতুন গতি দেবে।
গরিব মানুষ অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন তাদের পাশে থাকার সময় এসেছে।
চতুর্থ দফার লকডাউন ১৮ই মে’র আগে জানিয়ে দেওয়া হবে, যেটা নতুন নিয়ম মেনে নতুন ভাবে হবে।
আত্মনির্ভরশীল ভারতের উপর জোর দিতে হবে।
গোটা দেশে দাবী উঠছিল আর্থিক প্যাকেজের অবশেষে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।
‘করোনার কথা মাথায় রেখে আজ আমি বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করছি। যা আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে কাজ করবে। এই প্যাকেজ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত যা ২০ লক্ষ কোটি টাকা হতে চলেছে। যার দ্বারা দেশের নানা শ্রেণির মানুষ উপকৃত হবেন। এই প্যাকেজ আমাদের সবরকম উদ্যোগকে সাহায্য করবে। আগামীকাল থেকে শুরু করে এই নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বিশদে তথ্য দেওয়া শুরু করবেন।’