লকডাউনের জেরে বড় ধাক্কা আমজনতার, বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ট্যাক্সি ভাড়াও
পরিমল কর্মকার, কলকাতা : করোনা মোকাবিলায় লকডাউন করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই যখন মানুষকে বাঁচাবার প্রয়াসে উদ্যোগী, ঠিক তখনই আর্থিক অনটনে মানুষের বেঁচে থাকার আশা কার্যত: অতল জলে। দীর্ঘদিন টানা লকডাউনের জেরে পরিবহন পরিষেবায় এবার বড় ধাক্কা আমজনতার। রাজ্যের গ্রীন জোনে ইতিমধ্যেই সীমিত সংখ্যক সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও ভাড়া বৃদ্ধির প্রসঙ্গটা এখনও ওঠেনি। এবার রেড জোন ও কন্টেইনমেন্ট জোন বাদে গ্রীন জোন ও অন্য জোনে শীঘ্রই পথে নামতে চলেছে বেসরকারি বাস ও ট্যাক্সি। ইতিমধ্যেই ৩০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস ও ট্যাক্সির মালিক সংগঠনগুলি। শুধু ৩০ শতাংশই নয়, বাসে উঠলেই প্রথমে এক ধাক্কায় দিতে হবে তিন চার গুণ বেশি ভাড়া।
সূত্রের খবর, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে একটি বাসে যেহেতু ২০ জন যাত্রীর বেশি নেওয়া যাবে না, সেহেতু বেসরকারি বাসে উঠলেই প্রথম স্টেজে ২০ টাকা ভাড়া ও সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা ভাড়া দিতে হবে যাত্রীকে। তারমানে কেউ যদি বেহালা থেকে তারাতলা যায, তার ভাড়া হবে ২০ টাকা। তারপর থেকে স্টেজ প্রতি ৫ টাকা করে বাড়বে। ধরা যাক বেহালা থেকে কেউ কলেজ স্ট্রীট কিংবা শ্যামবাজার যাবে, তার ভাড়া হবে ৪৫ টাকা। আর ট্যাক্সির ক্ষেত্রে যা মিটার রিডিং হবে তার থেকে ৩০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীকে।
এব্যাপারে অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ, লকডাউনের বন্ধে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সমস্ত মানুষই চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এর উপর অত টাকা যাতায়াত ভাড়া দিয়ে কেউ কি কর্মস্থলে বা অন্যত্র যেতে পারবেন ? যা পরিস্থিতি আসতে চলেছে তাতে করোনা’য় মরার চেয়েও বেশি মানুষ অনটনে মরতে পারে বলে অভিযোগ।