নিউজ ডেস্ক:- আমপান বাংলা কে তছ নছ করে দিয়ে চলে গেল। সর্বনাশ হয়ে গেল। ধ্বংস করে দিয়ে গেল। আমপান লন্ডভন্ড করে যাওয়ার পর এমন প্রতিক্রিয়াই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। সকাল থেকে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন। প্রতি মুহূর্তের খবর এসেছে তাঁর কাছে। রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”এই বিল্ডিংয়ের (নবান্ন) অনেক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে অর্ধেক বিল্ডিং। এখানেই এই অবস্থায় হয়, আপনারা কল্পনা করতে পারছেন, সারা বাংলাজুড়ে তাণ্ডব হয়েছে।”
করোনাভাইরাসের মাঝে আমফান। রীতিমতো শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে গোটা রাজ্য। সে কথা মনে করিয়ে মমতা বলেন,”একদিকে কোভিড দুর্যোগ, পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছে, এদিকে ঝড় দুর্যোগ। সাংঘাতিক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করছি আমরা। আমি আজ নিজে উপলব্ধি করলাম। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। টোটালটাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ব্রিজ, রাস্তা, ঘরবাড়ি সবটা। সব খবর তো এখনও পাইনি। বিডিও,এসডিও সকলে আছেন। যা খবর পাচ্ছি, ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বেশিরভাগই গাছ ভেঙে মারা গিয়েছে। ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। পুরোটা ক্যালকুলেট করতে পারিনি। বিদ্যুত সংযোগ নেই। স্তম্ভিত, খুব খারাপ লাগছে। মাস ছয়েক আগে বুলবুল থেকে বাঁচাতে টোটালটা মেরামত করে দিয়েছিলাম।”
আমফান পরিস্থিতির মোকাবিলায় তাঁর সরকার তত্পরতার সঙ্গে কাজ করেছে বলেও দাবি করেন মমতা। মনে করিয়ে দেন, ”মাত্র একদিনের নোটিসে আমরা ৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিতে পেরেছি। আমরা যদি এটা সিরিয়াসলি এটা না নিতাম তাহলে জানি না কত লক্ষ মানুষ মারা যেত! ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান জানতে আরও ৩-৪ দিন লাগবে।” এই সময় রাজনীতি করার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এখন দেখার এই বৃহৎ ক্ষতির কি ভাবে সামাল দেওয়া যায় সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
সৌজন্য :- এই সময় পত্রিকা