সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে বিজেপি বনাম তৃনমূলের তুমুল কাজিয়া বেহালায়
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : সম্প্রতি নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ১ মে থেকে লকডাউন শিথিল করে দোকানপাট খোলা হবে। অটো, বাস ইত্যাদিও যথারীতি চালানো হবে। তবে বাসে যতগুলি সিট আছে ততজনই যাত্রী তোলা যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী গত সোমবার থেকেই সারা রাজ্য সহ বেহালাতেও যথারীতি খুলেছে দোকানপাট। চলাচল করছে বাস,অটো ইত্যাদি। তবে সামাজিক দূরত্ব কি ভাবে বজায় রাখা যাবে এনিয়ে মন্তব্য করেছিলেন এক বিজেপি নেতা। প্রত্যুত্তরে ওই নেতার মন্তব্যকে কান্ডজ্ঞানহীন বলে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন জেলা তৃনমূলের এক নেতা। শুরু হয়েছে বিজেপি বনাম তৃনমূলের তুমুল কাজিয়া।
উল্লেখ্য, লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে বলতে গিয়ে কলকাতা দক্ষিণ শহরতলী জেলা বিজেপি’র সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জী গত সোমবার (১মে) সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেন, “বাসের সিটে পাশাপাশি গায়ে গায়ে বসে কি আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায় ? লকডাউন শিথিল করে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর ভয়ানক ক্ষতি করলেন।” আর এতেই বেজায় চটেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃনমূলের কার্যকরী সভাপতি অঞ্জন দাস।
অঞ্জনবাবু বলেন, বিজেপি’র রাজ্য ও জেলাস্তরের নেতারা ভুলভাল বকেই চলেছেন। তাদের কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। তবে তিনি বলেন, “বিজেপি নেতাদের মুখে সামাজিক দূরত্বের কথাটা মানায় না। কারন মোদীজি যখন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে ভর্তি করে রাজ্যে ফেরালেন, তখন সামাজিক দূরত্বের কথাটা কি মনে ছিলনা ? এখন ওনারা বলতে এসেছেন সামাজিক দূরত্বের কথা ! যত্তসব অশিক্ষিত কান্ডজ্ঞানহীন লোকেদের মতো কথাবার্তা।”
এইসঙ্গেই অঞ্জনবাবু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে টানা লকডাউন চলছে। মানুষের কর্মসংস্থান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সামাজিক অর্থৈনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন শিথিল না করলে মানুষ তো এমনিতেই মারা যাবে। বিজেপি কি চাইছে লোকগুলো এই ভাবেই মারা যাক ?
রাজ্যে লকডাউন শিথিল করা নিয়ে বিজেপি ও তৃনমূলের মধ্যে পরস্পর বিরোধী উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডায় বেহালার রাজনৈতিক পরিমণ্ডল এখন দুই দলের কাজিয়ায় উত্তাল।