নিউজ ডেস্ক:- একেই বলে চালাকি । করোনা আবহে গোটা দেশ যখন বিপদে তখন পি এম কেয়ার্স নামে একটা ফান্ড খুুুুলে বার বার অনুদান চান নমোজী।
ভাল ই সাড়া পড়ে জমা শত শত কোটি টাকা । আর এই ফান্ড নিয়ে রাহুল গান্ধী বার বার সরব হন । কিন্তু নিট ফল শূণ্য। মামলা হয় কোর্টে । এর পর পিএম কেয়ার্স’ ফান্ডের ক্যাগ অডিট দাবি করে মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের উত্তর চেয়ে পাঠাল বোম্বে হাইকোর্ট।
বোম্বে হাইকোর্টের জাস্টিস সুনীল বি সুকরে ও জাস্টিস অনিল এস কিলরের নাগপুর বেঞ্চ আইনজীবী অরবিন্দ ওয়াগমারের দায়ের করা এই মামলার আবেদনের উত্তর চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে দু সপ্তাহের মধ্যে এফিডেভিট জমা করার নির্দেশ দেয়।
অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অনিল সিংহ এই আবেদন খারিজ করার আবেদন করেন। তিনি আদালতকে জানান যে একই ধরনের একাধিক মামলা এপ্রিল মাসে খোদ সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তবুও বিচারপতিরা মন্তব্য করেন যে এই মামলার আবেদন সুপ্রিম কোর্টে করা মামলার থেকে আলাদা।
আবেদনে অনুযায়ী গত ২৮ মার্চ তৈরি হওয়া পিএম কেয়ার্স ফান্ডে এক সপ্তাহের মধ্যেই ৬৫০০ কোটি টাকা জমা পড়ে বলে জানা যায়। কিন্তু তারপর থেকে এখন পর্যন্ত মোট কত টাকা জমা পড়েছে সে সম্বন্ধে কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
পিএম কেয়ার্স ফান্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী চেয়ারপারসন ও অন্য ৩ ট্রাস্টি সদস্য ছাড়াও এই ট্রাস্টে আরও ৩ সদস্য থাকার কথা। সেই ৩ সদস্যকে চেয়ারপারসন হয় নিয়োগ দেবেন নতুবা মনোনীত করবেন। কিন্তু ট্রাস্ট গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সেটা হয়নি।
আবেদনে সংসদের দুই কক্ষ থেকে অন্ততপক্ষে বিরোধী দলের ২ জনকে ট্রাস্টি সদস্য হিসাবে নেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছ থেকে। এছাড়াও ব্যক্তিগত অডিট নয়, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে ‘কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’ সংক্ষেপে ক্যাগের অডিট। এই চুড়ান্ত দুর্দিনে এই অনৈতিক কার্য কলাপ দেশের মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলেছে।