বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র পরিসংখ্যান দিয়ে জানালেন রাজ্যের বেকারত্বের হার দেশের তুলনায় কম

Spread the love

ওয়েব ডেস্ক:- গোটা দেশের তুলানায় এ রাজ্যের বেকারত্বের হার অনেকটা কম বললেন অর্থ মন্ত্রী অমিত মিত্র । বাংলায় বেকারত্বের হার ১৭.৪১ শতাংশ। দেশে ২৩.৪৮ শতাংশ। জোড়া দুর্যোগ করোনা এবং সাইক্লোন উম্পুনকে যুঝেও রাজ্যের বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়নি বলে বৃহস্পতিবার জানালেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি টুইটেও এ-ও দাবি করেন বেকারত্ব নিয়ন্ত্রণে বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে বাংলা। উল্লেখ্য, মূল্যায়ন সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

ধারাবাহিক লকডাউনের জেরে ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন বাংলায়। দেশে কলকারখানা বন্ধ হওযা দরুন রুটি-রুজি কার্যত শূন্য। এরফলে এক ধাক্কায় রেকর্ড পরিমাণে বেকারত্ব বেড়েছে দেশে। প্রথম লকডাউন শুরু হয় ২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল একমাস। পুরোপুরি লকডাউন। স্তব্ধ শিল্প-কল কারখানা। সিএমআইই রিপোর্ট বলছে, মার্চ মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৭৫। এপ্রিলে তা এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ২৩.৫২ শতাংশ।।
ad

লকডাউনে শহর-গ্রাম দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এপ্রিলে শহর এবং গ্রামে যথাক্রমে বেকারত্বের হার ছিল ২৪.৯৫ ও ২২.৮৯। এই সঙ্কটময় আবহে বাংলাও কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল না।
সিএমআইই-র রিপোর্টকে হাতিয়ার করে অমিত মিত্র দাবি করেছেন, মে মাসে বাংলায় বেকারত্বের হার ছিল ১৭.৪ শতাংশ। লকডাউনের মধ্যেও এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার মাত্র ৬.৯। আর লকডাউনের আগে অর্থাৎ মার্চ মাসে ছিল ৪.৯। এর থেকে স্পষ্ট পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরতেই এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে বেকারত্বের সংখ্যা।
বেকারত্ব হারের তালিকায় নীচের দিক থেকে ১১ নম্বরে বাংলা। এর নীচে উল্লেখযোগ্য রাজ্য বলতে মহারাষ্ট্র, ত্রিপুরা, রাজস্থান, গুজরাত, ছত্রিশগড়, উড়িষ্যা, অসম। মেঘালয় এবং জম্মু ও কাশ্মীর এই তালিকায় সবচেয়ে নীচে রয়েছে। সে সব রাজ্যে বেকারত্বের যথাক্রমে হার ৫.৯ ও ৫.২ শতাংশ। মহারাষ্ট্র ১৬.৫, রাজস্থান ১৪.১, গুজরাট ১৩.৬ এবং উড়িষ্যা ৯.৬। সবচেয়ে বেকারত্বের হার বেশি সে সব রাজ্যগুলি হল ঝাড়খণ্ড ৫৯.২, পুদুচেরি ৫৮.২, বিহার ৪৬.২, দিল্লী ৪৪.৯।

সৌজন্য:- এখন খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.