ওয়েবডেস্ক:- আবারো ধরা পড়ল ভারতের দুই তথ্য পাচারকারী । পাকিস্তানে তথ্য পাচার করত এই
দেশদ্রোহী । রাজস্থান পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের বড়োসড়ো সাফল্য। ভারতের গোপন তথ্য পাকিস্তানকে পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো দুজনকে। ধৃতদের নাম বিকাশ কুমার (২৯), চিমাল লাল (২২)। ধৃত দুজনেই গঙ্গানগর জেলার সেনা অস্ত্রভান্ডারের কাজ করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই দুজনের ওপর বেশ কিছুদিন ধরেই নজর রাখছিল রাজস্থান পুলিশ। প্রমাণ মেলার সঙ্গে গ্রেফতার করা দুইজনকে ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের একাধিক গোপন তথ্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আদান প্রদান করত এই দুই অভিযুক্ত। আরো জানা গিয়েছে, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স গত বছরের অগাস্ট মাস থেকে এদের দুজনের উপর নজর রাখছিল। এখন তাদের কাছে অকাট্য প্রমাণ চলে আসায় গ্রেপ্তার করা হয় এই দুজনকে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ‘অনস্কা চোপড়া’ নামে পাকিস্তানি এক মহিলা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে পাক গোয়েন্দারা বিকাশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সেই অ্যাকাউন্টেই বিকাশ ভারতের সেনাবাহিনী সম্পর্কিত একাধিক তথ্য প্রদান করত। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা, তাদের হাতে কি কি অস্ত্র রয়েছে সেসবের ছবি, সব রকমের তথ্য পাচার করেছে বিকাশ। এই তথ্য পাচারের জন্য মোটা টাকা দেওয়া হয়েছে তাকে। যদিও সেই টাকা সরাসরি নিজের একাউন্টে নেয়নি বিকাশ। তার তিন ভাইয়ের একাউন্টে আলাদা আলাদা ভাবে টাকা পাঠানো হয়েছে।
মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স সমগ্র তথ্য হাতে পাওয়ার পরে উত্তর প্রদেশ পুলিশের anti-terror স্কোয়াডের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দুই সংস্থার মিলিত প্রচেষ্টায় বিকাশের গতিবিধি লক্ষ্য রাখা হয়। বিকাশ সহ আরো একজনকে পাকড়াও করার এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয় ‘ডেজার্ট চেজ’! অবশেষে এই অভিযানের সাফল্য পেল পুলিশ।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বিকাশ স্বীকার করেছে, সে গত বছরের মার্চ এপ্রিল মাস নাগাদ ফেসবুকে একটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পায়। যার নাম ছিল ‘অনস্কা চোপড়া’। তার সঙ্গে ধীরে ধীরে তার বন্ধুত্ব হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর শেয়ার হয়। পরবর্তী কিছু সময় পরেই তাদের মধ্যে ভিডিও কল শুরু হয়। ফেসবুকের ওই মহিলা বিকাশ ক জানিয়েছিল, সে মুম্বাইয়ের ক্যান্টিন স্টোর ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মী। সে অনেক সেনাবাহিনীর গ্রুপে রয়েছে যেখানে একাধিক তথ্য আদান প্রদান করা হয়। এই প্রেক্ষিতে এসে তার বস অমিত কুমার সিংয়ের সঙ্গেও বিকাশের পরিচয় করায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই সমস্ত কথা বিশ্বাস করি সে তথ্য আদান প্রদান করেছিল বলে দাবি বিকাশের।