নিউজ ডেস্ক:- অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভার পর যেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসার স্রোত শুরু হয়েছে ।প্রতিদিন ই বিজেপি থেকে তৃণমূলে দলে দলে এক ঝাঁক বিজেপি কর্মী যোগ দিল তৃণমূলে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানালেন তৃণমূল নেতা তথা কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ দিন তিনি জানিয়েছেন, হুগলি জেলা থেকে প্রায় ৬০০ বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে মণ্ডল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন।
লোকসভা নির্বাচনে হুগলিতে ব্যাপক ফল করে গেরুয়া শিবির। শুধুমাত্র হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তৃণমূলের একাধিক দূর্গ কার্যত ধূলিসাত্ করে সেখানে পদ্ম ফুটেছে। কোথাও আবার জোর টক্কর দিয়েছে বিজেপি। সেখানে প্রায় ৬০০ বিজেপি কর্মীর হাতছাড়া গেরুয়া শিবিরে বড়সড় ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ববি হাকিম আরও দাবি করেন, আসাউদ্দিন ওয়েইসির অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের এক কর্মীও তৃণমূলে অংশগ্রহণ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ববি বলেন, “দেশে বেকার বাড়ছে। দারিদ্র বাড়ছে। জিডিপি কমছে। আর নজর ঘোরাতে বিজেপি এনআরসি, সিএএ-এর কথা বলছে।” তবে, এ দিন সিএএ নিয়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে ৪ সপ্তাহের মধ্যে তলব করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় কিছুটা আশাহত আন্দোলনকারীরা। এ প্রসঙ্গে ববি বলেন, আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। বুলবুল নিয়ে কেন্দ্রকে এ দিন একহাত নেন তিনি। তাঁর কথায়, আমরা দাবি জানিয়েও এক পয়সা পায়নি। মিটিং না করে বরং টাকা ফেরত্ দিক ওরা।
লকেটের গড় , বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বাকুঁড়া,থেকে শয়ে শয়ে হাজারে হাজারে লোক আসছে তৃণমূলে। আর একুশে নিবার্চন কে কেন্দ্র করে প্রতিটি দল তাদের দাবার গুঁটি সাজাতে শুরু করেছে।