ডেস্ক:- গুরত্ব পূর্ণ নথি ,পাচারের দায়ে গ্রেফতার হল নৌবাহিনীর এগার জন সদস্য । পাকিস্তানী গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-কে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ১১ নৌবাহিনীর কর্মী সহ মোট ১৩ জন। ওই ১৩ জন ধৃতের নাম সতীশ মিশ্র,
দীপক ত্রিবেদী, পঙ্কজ আইয়ার, সঞ্জীত কুমার, সঞ্জয় ত্রিপাঠী, বাবলু সিং, বিকাশ কুমার, রাহুল সিং, সঞ্জয় রাউত, দেবশরণ গুপ্তা, রিঙ্কু ত্যাগি, ঋষি মিশ্র ও বেদরাম। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গুপ্তচর র্যাকেটের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ওই ব্যক্তিরা হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ফাঁদে ধরা পড়ে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করতেন।
জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এএনআই নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে, মুম্বাই, কারোয়ার এবং বিশাখাপত্তনমসহ দেশের বেশ কয়েকটি নৌ ঘাঁটি থেকে পুলিশ তাদের ধরেছিল। এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রোফাইলের মাধ্যমে ভারতীয় নৌবাহিনীর সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ রয়েছে।
নৌ সূত্র জানায় যে গ্রেপ্তার হওয়া নৌবাহিনীর সদস্যদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা কোথা থেকে এসেছে তা অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত চলছে। ডিসেম্বর মাসে গুপ্তচর মামলায় জড়িত সাত নৌ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ, নৌ গোয়েন্দা সংস্থা ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যৌথভাবে এই অভিযান শুরু করেছিল। নেভাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এই মামলাটি তদন্ত করে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশকে পুরোপুরি সমর্থন দিচ্ছে।
নৌ কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারের খবর প্রকাশের পরে, ভারতীয় নৌবাহিনী তার কর্মীদের কাছে ফেসবুকের মতো সামাজিক মিডিয়া সরঞ্জাম এবং স্মার্টফোনের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। তবে সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী তার কর্মীদের উপর এ জাতীয় বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। গত কয়েকমাসে সেনা ও বিমানবাহিনীতেও এ জাতীয় মামলা দেখা গেছে।
সূত্র :- আজতক হিন্দী