উত্তর প্রদেশে পিয়ন পদের আবেদনে ৩৭০০ পিএইচডি
লক্ষ্ণৌ :- মাত্র ৬২টি শূন্যপদের জন্য ৯৩হাজার আবেদনপত্র! শুধু তাই নয়, এঁদের মধ্যে ৩হাজার ৭০০জন পিএইচডি। পদের নাম মেসেঞ্জার বা পিয়ন, যে পদের জন্য আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা প্রয়োজন পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ। উত্তর প্রদেশে পুলিশ বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর দেশে চাকরির এমনই ভয়াবহ ছবি ধরা পড়েছে।
দেশে বেকারত্বের কী হাল তা চাকরির আবেদনের এই বহর দেখলেই সহজে অনুমান করা যায়। শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, দেশের সর্বত্র একই হাল। সামান্য যোগ্যতার চাকরির জন্য আবেদন জমা পড়ছে উচ্চ শিক্ষিতদের। নরেন্দ্র মোদীরা দেশের হাল এখানে নামিয়ে এনেছে। রামমন্দির নির্মাণ যে কর্মসংস্থান তৈরি করে না সেটা যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের চাকরির আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতায় চোখ বোলালেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
এই চাকরির জন্য শুধুমাত্র বলা হয়েছিল যে, চাকরি প্রার্থীরা সাইকেল চলাতে পারেন কীনা সেটা জানাতে
হবে। কিন্তু ১২ বছর ধরে ঝুলে থাকা ওই পদগুলির জন্য ৩৭০০পিএইচডি ছাড়াও ৫০হাজার স্নাতক এবং ২৮ হাজার স্নাতকোত্তর আবেদন করেছেন। আবেদনের এমন হাল দেখে এখন পুলিশ বিভাগ ওই পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু চাকরিটি হলো, এক থানা থেকে আরেক থানায় পুলিশের বার্তা পৌঁছে দেওয়া। একারণেই পঞ্চম শ্রেণির যোগ্যতামান চাওয়া হয়েছিল সঙ্গে সাইকেল চড়া। কিন্তু একেই সরকারি চাকরি তার ওপর মাসিক বেতন ২০হাজার টাকা দেখে উচ্চশিক্ষিত বেকাররাও আবেদন করেছেন ওই পিয়ন পদের জন্য।
তথ্যই বলছে, রেলে ১লক্ষ শূন্যপদের জন্য ২কোটিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এবছর মুম্বাই পুলিশের ১১০০কনস্টেবল পদের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ২লক্ষেরও বেশি। রাজস্থানে সম্প্রতি পিয়ন পদের জন্য আবেদন করেছিলেন ১২৯ ইঞ্জিনিয়ার, ২৩ আইনজীবী, একজন চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট এবং ৩৯৩জন স্নাতক।