মুর্শিদাবাদে NIA-এর জালে ৬ আল কায়দা জঙ্গি!
জেলা,
নিউজ ডেেস্ক:- আল কায়দা জঙ্গি সংস্রবে কেরল ও পশ্চিমবাংলা থেকে ৯জনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ,পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলা ও কেরলের এর্নাকুলাম জেলায় হানা দেয় এনআইএ।
এই অভিযান সম্পর্কে এক বিবৃতিতে এনআ্ইএ জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে আল কায়দার সঙ্গে যুক্তরা আন্তজ্যে সক্রিয় বলে জানতে পারে এনআইএ। তাদের জঙ্গি হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল যেখানে নিরীহ শিশু ও মানুষদের হত্যা করাই উদ্দেশ্যে ছিল।
এদের মধ্যে শনিবার সকালে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে। আর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কেরল থেকে। যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল, মুরশিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস, মোশারফ হোসেন, সাজমুজ সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, দিউ ইয়েন আহমেদ, আল মামুন কামাল ও আতিতুর রহমান।এদেরকে আজই পুলিশি হেফাজতের জন্য কোর্টে তোলা হবে।
প্রথমে জলঙ্গির ঘোষপাড়া থেকে কলেজ পড়ুয়া আতিতুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। সে জলঙ্গির বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এর্নাকুলামে ধৃত মোশারাফ হোসেনের ভাই সে। আতিতুরের মতো নাজমুস সাকিবও কলেজ পড়ুয়া। তার বাড়ি ডোমকলে। আতিতুর ও নাজিমুল দু’জনেই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। সেই ডোমকল থেকেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে ধরা পড়েছে লিউ ইয়েন আহমেদ। অস্ত্র বর্ম পরিহিত আহমেদের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সে ডোমকলের বেসরকারি কলেজে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করত। সেজন্য নামডাকও ছিল। গ্রেফতারির পর তার বাড়ির সামনে বসেছিলেন শুধু আহমেদের মা। তিনি বলেন, ‘ও হয়তো জড়িত আছে। মুসলিম সমিতির আলোচনায় যেত।’ তবে রানিনগরের আবু সুফিয়ানের গ্রেফতারিতে সবথেকে বেশি অবাক হয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁরা জানান, আবুর পরিবার উচ্চশিক্ষিত। তার বাবা শিক্ষক। দুই ভাইও শিক্ষক। আবুর দর্জির দোকান ছিল। তবে এলাকায় কারোর সঙ্গে বেশি মেলামেশা করত না। চুপচাপ থাকত। এলাকায় গোঁড়া হিসেবে পরিচিত সে। এতটাই গোঁড়ামি ছিল যে সন্তান হওয়ার সময় চিকিৎসকেরও কাছে যায়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। সেই আবুই যে পাকিস্তানের আল কায়দার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল, তা মেনে নিতে পারছে না পরিবার।এনআইএ স্পষ্ট জানিয়েছেে, অস্ত্র সরবরাহের জন্য মুর্শিদাবাদ ও এনার্কুলামে ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে চারজনের কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। পাকিস্তানি হ্যান্ডেলারদের নির্দেশেই তারা সেই কাজ করছিল। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় ধৃতদের মগজধোলাই করেছিল পাকিস্তানের আল-কায়দা জঙ্গিরা।