৭০ লক্ষ মানুষ একে অপরের হাত ধরে গড়লেন ইতিহাস ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কেরলে

Spread the love

৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কেরলে! ৭০ লক্ষ মানুষ একে অপরের হাত ধরে গড়লেন ইতিহাস

ওয়েবডেস্ক:‌ ‌বিশ্বের ইতিহাসে এই রকম মানব বন্ধন কি কোন দিন হয়েছে ,আজ এই প্রশ্ন গোটা দেশে। সাধারণতন্ত্র দিবসে কলকাতায় গড়ে তোলা হয়েছে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন। এ দিনেই কলকাতাকে ছাপিয়ে ইতিহাস গড়ল বাম শাসিত কেরল। সেখানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে গড়ে তোলা হয়েছে ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন। তাতে অংশগ্রহণ করেছেন কেরলের ৭০ লক্ষ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে এদিন ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ মানববন্ধন তৈরি হল কেরলে।
একেবারে উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত এই মানববন্ধন গড়ে তোলা হয়েছিল। কেরলের কাসড়গড় থেকে শুরু করে সোজা কালিয়াক্কাভিলাই পর্যন্ত। সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, ‘‌আজকে কেরল থেকে শুরু হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মানববন্ধন গ্রেট ওয়ালে রূপান্তরিত হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য একটা বড় বিপদ। সবার আগে কেরল পুরো দেশকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর আমাদের মাটিতে কার্যকর হবে।

প্রজাতন্ত্র দিবসে কলকাতা দেখেছে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন। হাতে হাত রেখে সিএএ-এনআরসি’র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন সকল শ্রেণীর মানুষ। তবে বাম শাসিত রাজ্যে কেরল এদিন রীতিমতো অনন্য নজির সৃষ্টি করল। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে এদিন ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ মানববন্ধন তৈরি হল কেরল। ৭০ লক্ষ মানুষ মিলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে গড়ে তোলেন ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মানববন্ধন।

কেরলের কাসরগড থেকে শুরু করে কালিয়াক্কাভিলাই, মানচিত্রের হিসেবে কেরলের একেবারে উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত এই মানববন্ধন গড়ে তোলা হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন। সিএএ ও এনআরসি’র বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন যেভাবে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে এসেছেন, সেভাবেই এদিনও এই মানববন্ধনের সূচনা করেন তিনি। পরে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সাক্ষাৎকারে জানান, ‘আজকে কেরল থেকে শুরু হওয়া সিএএ বিরোধী এই মানববন্ধন গ্রেট ওয়ালে রূপান্তরিত হয়েছে।’

তাঁর আরও দাবি, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য একটা বড় বিপদ। সবার আগে কেরলই পুরো দেশকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর আমাদের মাটিতে কার্যকর হবে না।’ বস্তুত কেন্দ্র বিরোধী এই লড়াইয়ে বিজয়নই সবথেকে সক্রিয় তথা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। কোনও রাজ্য হিসেবে নিজেদের বিধানসভায় প্রথম এই আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ করিয়েছিল কেরলই। এরপরই একের পর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্যও সেই একই পথে হাঁটে। সেই পথে হেঁটেই আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হতে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.