বেহালায় একশ্রেণীর প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে লোক ঠকানো কারবার চলছে, অভিযোগ রোগীর পরিবারের, অবিলম্বে প্রশাসনিক কঠোর পদক্ষেপের দাবি
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বেহালার ইউনিক পার্কের বাসিন্দা স্বপন নস্করের স্ত্রী কল্যাণী নস্কর (৩৮) বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ। তাই গত ১৬ অক্টোবর তাদের বাড়ির নিকটস্থ চিকিৎসক ডাঃ মানস কুমার বড়ুয়ার কাছে দেখাতে গেলে চিকিৎসক তার প্রেসক্রিপশনে কিছু প্যাথলজিক্যাল টেস্ট লিখে দেন। তারমধ্যে ইউরিন কালচার ও ব্লাড কালচারও উল্লেখিত ছিল।
প্রসঙ্গত: স্ত্রীর অসুস্থতায় প্রাইভেট ফার্মে কর্মরত সামান্য মাইনের কর্মী স্বপন নস্কর নানা চিন্তা ভাবনার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। চিকিৎসককে দেখাবার পর সেই প্রেসক্রিপশন নিয়ে তিনি গত ১৮ অক্টোবর বেহালা পাঠকপাড়ায় একটি নামী প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে ইউরিন কালচার টেস্ট-এর জন্য যান ও সেখানে ইউরিন জমা করেন। ল্যাবের পক্ষ থেকে সঙ্গেসঙ্গেই তাকে টাকা জমা করতে বলা হয়। বিল হয় ৭৫০ টাকা। স্বপনবাবু ৭৫০ টাকাই জমা করে মানি রিসিট নিয়ে নেন।
পরবর্তীতে ব্লাড কালচার করাতে অন্য ল্যাবে গেলে সেখান থেকে স্বপনবাবু জানতে পারেন ইউরিন কালচার করতে ৩০০/৩৫০ টাকা লাগে। এরপরেই তিনি বিভিন্ন ল্যাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ইউরিন কালচার করতে ওই ৩০০/৩৫০ টাকাই লাগে। তখনই তার বুঝতে অসুবিধা হয়না যে বেহালা পাঠকপাড়ার ওই নামী ল্যাবটি রোগীদের পকেট কেটে লোক ঠকাচ্ছে। তা না হলে একই টেস্টে এত টাকার ফারাক কেন হবে ? মানুষের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে এই ধরনের লোক ঠকানোর বিরুদ্ধে তিনি ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের পরামর্শে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বলে খবর। এমনকি বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগ, বেহালার বেশ কিছু ডায়গনস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে এই ধরনের লোক ঠকিয়ে প্রতারণার কারবার ফেঁদে বসেছে একশ্রেণীর প্রতারক ব্যবসায়ী। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রশাসনের কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ বলেই দাবি করছেন সাধারণ মানুষ।