নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জিয়াগঞ্জ খুনের ঘটনায় অপরাধীদের কঠোর শাস্তির আর্জি জানালেন এআইএমআইএম প্রধান তথা সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েইসি৷
বৃহস্পতিবার নিজের টুইটে এআইএমআইএম নেতা লেখেন, ‘(জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে) অপরাধীদের কঠোরতম সাজা নিশ্চিত করতে হবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে।’ তাঁর মন্তব্য, ‘আমরা RSS-এর মতাদর্শের বিরোধী। কিন্তু এই ঘৃণ্য কাজের ক্ষেত্রে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়৷’
মঙ্গলবার, বিজয়ী দশমীর দিন, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের নিজের বাড়িতে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ও ছেলে- সহ নৃশংসভাবে খুন হয়ে যান এক শিক্ষক। আততায়ীদের গ্রেফতার করা তো দূর, হত্য়াকাণ্ডের কারণ বা মোটিভ সম্পর্কেই নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা। বিজেপির দাবি, জিয়াগঞ্জের নিহত শিক্ষক নাকি আরএসএস-এর এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এই ঘটনার পরই আরএসএসের সিনিয়র নেতা এবং আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার বলেন, আমি অবাক হই যে, পশ্চিমবঙ্গে শাসনভার ভারতীয় সংবিধান অনুসারে চলতে পারে কি না। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে বিবেচনা করার সময় এসেছে। অবিলম্বে বাংলায় রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করুক কেন্দ্র।
এদিকে, জিয়াগঞ্জে শিক্ষক খুনে তদন্তের নামে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন মৃতের মা এবং পরিবারের লোকজন। শুক্রবার সাগরদিঘির সাহাপুরে মৃতদের পারলৌকিক ক্রিয়ায় যোগ দিতে আসেন পরিবারের পরিজনেরা। সেখানেই বন্ধুপ্রকাশের মা মায়ারানি বলেন, “পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনা জানানো হয়েছে। অথচ তিন দিন কেটে গেলেও পুলিশ কোনও কিনারা করতে পারেনি। বরং সংবাদমাধ্যমে এমন সব তথ্য দিচ্ছেন পুলিশ কর্তারা যার সত্যতা নেই। তাই পুলিশি তদন্তে আস্থা হারিয়ে ফেলছি আমরা। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হস্তক্ষেপ করুন।”
এ দিন পুলিশ জিয়াগঞ্জের পাশাপাশি সাহাপুরে গিয়েও তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারীদের একটি দল পাড়ি দেয় রামপুরহাট ও সিউড়িতেও। রামপুরহাট শহরের ভাঁড়শালাপাড়া এলাকার গ্যাস গলির একটি বাড়িতে ঘন্টা দেড়েক তল্লাশি চালায় পুলিশ।
সৌজন্য:-Kolkata 24