জয়নাল আবেদিন,অয়ন বাংলা,কলকাতা:-শিক্ষার অধিকার আইনে পরিস্কার ভাবে বলা আছে, দেশের প্রত্যেক সরকারী বিদ্যালয়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের অনুদান প্রাপ্ত বা অনুদান রহিত প্রত্যেক বেসরকারী বিদ্যালয় তা সে সি বি এস ই বা আই সি এস ই বা মাদ্রাসা যাই হোক না কেন, তাদের প্রত্যেককে নিজেদের বিদ্যালয়ের শতকরা ২৫ শতাংশ আসন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া সমাজের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ এই আইন মেনে কোন কোন বিদ্যালয় চলছে আর কারা এই নিয়ম মানছে না এই নিয়ে কিছুদিন আগে আম আদমি পার্টী-র প্রদেশ শিক্ষা প্রকোষ্ঠ-র দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা বি কে সিং এবং পার্টী-র হাওড়া জেলার শিক্ষা প্রকোষ্ঠ-র নেতা বিকাশ ব্যাস ‘তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫’-এর অধীন একটা আবেদন করেছিলেন।
কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ার পরেও শিক্ষা বিভাগ থেকে এর কোনো প্রত্যুত্তর না আসায় পরবর্তী সময়ে আম আদমি পার্টী বাধ্য হয়ে আপিল করে।
আজ সল্টলেকের বিকাশ ভবনে অবস্থিত রাজ্যের শিক্ষা আয়োগ সৌমিত্র মোহন-এর সঙ্গে এই বিষয়ে সাক্ষাৎ করতে যান আম আদমি পার্টী-র নেতৃবৃন্দ।
আম আদমি পার্টী-র হাওড়া জেলার শিক্ষা প্রকোষ্ঠ-র তরফ থেকে বিকাশ ব্যাস জানান “তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫-এর অধীন আমাদের আবেদন-এর উপর শুনানির দিন আজ ধার্য করে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা আয়োগ।”
অন্যদিকে পার্টী-র প্রদেশ শিক্ষা প্রকোষ্ঠ-র তরফ থেকে বি কে সিং জানান, “আমরা জানতে চেয়েছিলাম রাজ্যের কোন কোন বেসরকারী বিদ্যালয় সরকারের এই কল্যাণকারী নিয়ম মানছে না আমাদের জানান, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমাদের কোনো তথ্যই দেয়নি।
আজ আমরা বিকাশ ভবনে এসে একদিকে যেমন আমাদের আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করিয়েছি, ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী কে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য সময়ও চেয়েছি।”