নিউজ ডেস্ক, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা:- দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় এনআরসি আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন বছর পঁয়ত্রিশের কালাচাঁদ মিদ্যা। আর সে খবর জানতে পেরেই সোমবার বিকেলে আত্মঘাতী ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারকে মোট পাঁচলক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি।প্রতিশ্রুতি দেন, নিজস্ব তহবিল থেকে ২ ও জেলা জুড়ে ৩ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে মৃতের পরিবারকে দেওয়া হবে।
এদিন সভা করে তিনি বলেন, অযথা এনআরসি আতঙ্কে ভুগে নিজেদের জীবন শেষ করবেননা কেউ। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় এনআরসির আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিজেপি। এখানে এনআরসি হবে না। আপনারা মমতা ব্যানার্জিকে এনার্জি দিন, আমরা এনআরসিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে গঙ্গার জলে ছুঁড়ে ফেলে দেবো।’ একমাসের মধ্যে মৃতের পরিবারকে নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়ে বলেন, মৃতের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া এক মেয়ের আজীবন পড়াশোনার দায়িত্বও তিনি নেবেন। তিনি বলেন, ‘বিজেপি আর সিপিএম একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলায় এনআরসি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করছে। আমি মমতা ব্যানার্জির মত অত উদার কিন্তু নই। ফলতায় এই মৃত্যুই যেন প্রথম ও শেষ মৃত্যু হয়। আমার লোকসভা কেন্দ্রে এমন আর একটা ঘটনা যদি ঘটে তাহলে এই জেলায় বিজেপি আর সিপিএমের রাজনীতি করা চিরতরে বন্ধ করে দেবো।’ তিনি বলেন, ‘অসমে এনআরসিতে মুসলমান তাড়াতে গিয়ে বারো লক্ষ হিন্দু ভোটারের নামও বাদ পড়ল। পদ্মে ভোট দিয়ে এখন তাঁদের পদ্মানদীর ওপারে চলে যেতে হচ্ছে। কিন্তু আমি আশ্বস্ত করছি এ বাংলায় তা হবে না।’
তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, কালাচাঁদ ১৯৭১ সালের আগের নথিপত্র খুঁজেও পাননি। তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এভাবে ভয় পেয়ে নিজেদের জীবন শেষ করবেন না। বাংলায় এনআরসি করা অত সহজ কাজ নয়। এরপর আরও সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম যদি অমিত শাহ হয়, তবে বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতদিন মমতা ব্যানার্জি বাংলায় আছেন ততদিন এনআরসির একটা ‘ফর্মও’ এ বাংলায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করে তিনি এও বলেন, যারা বড় বড় কথা বলছেন তাঁরা ৭১ এর আগের নথিপত্র তারা দেখাতে পারবে তো? ত্রিপুরায় এনআরসি হলে প্রথম যে লোকটা সবার আগে বাংলাদেশে যাবে তার নাম বিপ্লব দেব, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
সৌজন্য:- মহানগর ডেস্ক