এইভাবে চললে নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ অনাহারে মরবে, গুরুতর অভিযোগ বিবেক চক্রবর্তীর
পরিমল কর্মকার,অয়ন বাংলা , কলকাতা : চতুর্থ দফার লকডাউন ৩১ মে অবধি চলবে। একে তো একটানা ২ মাস ধরে লকডাউন চলছে। সাধারণ মানুষের কাজকর্ম সব বন্ধ। আবার ১৫ দিনের প্রতীক্ষা। এইভাবে চলতে থাকলে নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ অনাহারে মরবে বলে গুরুতর অভিযোগ করলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি বিবেক চক্রবর্তী।
১৭ মে, রবিবার এক সাক্ষাৎকারে বিবেকবাবু অভিযোগ করেন, দু মাস অতিক্রান্ত হলেও লকডাউন সমানে চলছে। ৩১ মে অবধি বর্ধিত লকডাউনে আরও ১৫ দিন বন্দীদশায় থাকতে হবে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের অন্ন সংস্থান করা এখন দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বারং বার দিনের পর দিন এইভাবে লকডাউন বাড়লে মানুষের অনাহারে মরা ছাড়া আর কোনও গতি নেই।
তিনি বলেন, গরিব মানুষেরা সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ পরিষেবায় চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, তেল, মশলা ইত্যাদি পাচ্ছেন। গরিবদের জন্য সরকারি আর্থিক প্যাকেজের ব্যবস্থা হচ্ছে। উচ্চবিত্ত ও ধনী মানুষেরা তাদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে প্রয়োজনে আরও ১/২ বছর বাড়িতে বসে খাওয়া দাওয়া করবে, টিভি দেখবে, নানারকম বিলাসিতা করবে। দরকার হলে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা “লোন” নেবে। ধনীরা সহজেই লোন পেয়েও যাবে। কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্তরা না পাবে সরকারি ত্রাণ অথবা আর্থিক প্যাকেজ, না পাবে “লোন”। এমনকি তারা জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য নিজেরা যে কাজকর্ম করবে, “সে গুড়েও বালি, মানে ঘরবন্দী হয়ে বাড়িতে পচে মরো।” এমনই গুরুতর অভিযোগ বিবেক চক্রবর্তীর।
এই প্রতিবেদকের (সাংবাদিকের) এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ” ধরুন করোনা সংক্রমণ আরও ১ বছর কিংবা ২ বছর চললো, তাহলে কি আরও ১/২ বছর লকডাউন করে সব মানুষকে বন্দীদশায় রাখা হবে ? কারন করোনা কবে যে বিদায় নেবে সেটা তো আর আমরা কেউ হাত গুনে বলতে পারছি না। তাহলে করোনা থাকাকালীন সময়ে মানুষ রাস্তায় বেরোলেই তো করোনায় মরবে, তাই নয় কি ? তাহলে করোনা বিদায়ের জন্য আমাদের মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ঘরবন্দী হয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায়ই বা কি ? ”
ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীতে যত রোগের উৎপত্তি হয়েছে, তারমধ্যে কোন রোগটা নির্মূল হয়ে গিয়েছে ? মানুষকে ঘরবন্দী করলেই সংক্রমণ ঠেকানো যায় না। কারন সকালের দিকে লকডাউনে কিছুটা ছাড় রয়েছে। এই সময় দলে দলে মানুষ হাটে, বাজারে, দোকানে যাচ্ছে। তাহলে সেখান থেকে কি সংক্রমণ ছড়াতে পারেনা ? আসলে রাজনৈতিক মুনাফার স্বার্থেই মানুষকে ঘরবন্দী করে ফয়দা লোটার চেষ্টা হচ্ছে, বলে তার অভিযোগ।