জীবন্তির চেতনায় আবুল কালামের জন্মদিনে আন্তর্জাতিক ছাত্র দিবস উদযাপন

Spread the love

জীবন্তির চেতনায় আব্দুল কালামের জন্মদিনে আন্তর্জাতিক ছাত্র দিবস উদযাপন

জৈদুল সেখ ,অয়ন বাণলা,
জীবন্তি কান্দী মুর্শিদাবা
ভারতের ‘মিশাইল ম্যান’ হিসাবে পরিচিত ড. এপিজে আব্দুল কালাম মহাশয়ের ৮৯তম জন্মদিনে বিশ্ব ছাত্র দিবস উদযাপন করল জীবন্তির চেতনা শিক্ষা নিকেতন। সকাল আটটার সময় জীবন্তির বিভিন্ন এলাকায় প্রভাতফেরি করে সকাল নয়টায় সময় কালামের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। তার পর শুরু হয় দুদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা, বাল্যবিবাহ উপর সামাজিক নাটক। সভাপতিত্ব করেন উদয়চাঁদপুরের হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল জলীল মহাশয়, প্রধান অতিথি ছিলেন আজাদ মিশন বি.এড কলেজের সেক্রেটারী আবুসোফিয়ান। বাল্যবিবাহ এবং কালাম স্যারের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কান্দী থানার আই আসি অরূপ কুমার বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন সাহাজাদপুর সারবাগান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আরসাদুর রহমান সহ একাধিক শিক্ষক ও সমাজসেবী

পুরো নাম ডঃ আবুল ফকির জয়নাল আবেদিন আব্দুল কালামকলেজ জীবন কাটে তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ’স-এ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বিমানপ্রযুক্তি শিক্ষা২০০২ সালে দেশের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি
১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর, তৎকালীন ব্রিটিশ শাষিত ভারতে রামেশ্বরমের এক তামিল-মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতা জয়নুল-আবেদিন ছিলেন একজন নৌকার মালিক এবং মা অশিয়াম্মা ছিলেন গৃহবধূ। অল্প বয়স থেকেই পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তাকে কাজ শুরু করতে হয়। রামনাথপুরম স্কোয়ার্টজ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য সংবাদপত্রে লেখালিখি শুরু করেন তিনি।
 চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়। দেশের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল অবধি তিনি ছিলেন। জীবনের সমস্ত সঞ্চয় স্বেচ্ছাসেবি সংস্থাকে দান করে দেন তিনি। জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও সর্বধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে গীতা-কোরাম সমস্ত ধর্মগ্রন্থ পড়তেন তিনি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ভারতরত্ন, পদ্মভূষণ-সহ একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই শিলং-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.