এবার পালা কাশী-মথুরার, হুঙ্কার সাধ্বী ঋতম্ভরার।
নিউজ ডেস্ক: – বাবরী ধ্বংশ মামলায় সকলকে মুক্ত করে দিল আদালত। সাক্ষী মহারাজ বললেন তারা বিতর্কিত কিছুই ভাঙ্গে নি । দীর্ঘ ২৮ বছরের লড়াই শেষে মুক্তি মিলল আদবানী যোশীদের। । বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় বেকসুর খালাস পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানী । দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার পর আজ জনসমক্ষে এলেন বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা। বলে দিলেন, “আমি আন্তরিকভাবে এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। এই রায় আমার এবং বিজেপির রাম জন্মভূমি আন্দোলনের প্রতি যে দায়বদ্ধতা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল।” আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসার পর একটি ভিডিও বার্তাও প্রকাশ করেছেন আডবানী। যাতে তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে।
মামলার আরও এক মূল অভিযুক্ত মুরলীমনোহর যোশী বলছেন,”এটা একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এতেই প্রমাণ হয়, কোনও ষড়যন্ত্র সেদিন করা হয়নি। আমাদের কর্মসূচি বা জনসভা কোনওটাই ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল না। আমরা খুশি। আমার তো মনে হয় মন্দির নির্মাণ নিয়ে সবার খুশি হওয়া উচিত।” আরেক অভিযুক্ত সাক্ষী মহারাজ তো বলেই দিলেন,”সেদিন তাঁরা কোনও বিতর্কিত নির্মাণ ভাঙেনইনি। সেখানে কোনও বিতর্কিত নির্মাণ ছিলই না। যেটা ছিল সেটা রাম মন্দিরেরই অংশ।” আরেক অভিযুক্ত সাধ্বী ঋতম্ভরা আবার সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘রাম মন্দির মিটল, এবার কাশী মথুরাতেও আমরা আমাদের নৈতিক অধিকারের জন্য লড়াই করব।’ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার সাধু-সন্ত এবং বিজেপি নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছিল। সেটা এবার প্রমাণ হয়ে গেল। যোগী ছাড়াও, রাজনাথ সিং, রবিশংকর প্রসাদের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
বুধবার লখনউয়ের আদালত সাফ জানিয়েছে, তাঁরা অভিযুক্তদের মুক্ত করছে প্রমাণের অভাবে। সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি। বিশেষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্ট বা সুপ্রিম করতে যাওয়ার আইনি রাস্তা সিবিআইয়ের কাছে এখনও খোলা থাকছে। যদিও, বিজেপি সরকারের আমলে সিবিআই সে পথে হাঁটবে কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। তবে, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে, লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের এই রায়কে তাঁরা চ্যালেঞ্জ করবে। এবং রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাই কোর্টে আবেদন করা হবে।