আল কায়দা জঙ্গি যােগের কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি পুলিশ
একবছর জেলখাটার পর মাওলানাকে জামিনে মুক্তি দিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট
নিউজ ডেস্ক: – ঝাড়খণ্ডের অ্যান্টি টেরিরিস্ট স্কোয়াড গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জামশেদপুর থেকে মাওলানা কালিমুদ্দিন মাজাহিরি নামে এক আলেমকে গ্রেফতার করার পর দাবি করেছিল আল তায়দার মাথার সঙ্গে উনি যুক্ত। কিন্তু প্রায় একবছর তিনি রোবন্দি জেলে বন্দি থাকার পর ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করে জানিয়ে দিল, তার বিরুদ্ধে কােনও আল কাদা যোগে প্রমান মেলে নি।
তাই জামিনদেওয়া হল। বিচারপতি কৈলাস প্রসাদ দেও-এর গঠিত বেঞ্চ তার রায়ে বলেছে,
আবেদনকারী মাওলানা কালিমুদ্দিন মাজাহিরির বিরুদ্ধে ন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় নি আল কায়দা সংযােগের, তদন্তকারী অফিসার তার বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেননি যে তাকে আল কায়দা নাশকতার জন্য কোনও
অর্থ দিয়েছে। এমনকী বেআইনি কাজকর্ম করে এমন কোনও সংগঠনের সঙ্গে তার কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে সৌদি আরব, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে যাওয়ার অভিযােগ আনা হয়। কিন্তু তিনি যে সৌদি আরবে হজে গিয়েছিলেন ভারত সরকারের অনুমোদন নিয়ে সেকথা আদালতে জানানাে হয়। গত ৩ নভেম্বর মাওলানা কালিমুদ্দিন মাজাহিলিকে জামিনে মুক্ত করার আদেশ দিয়ে ঝাড়খন্ড হাইকোর্টে বলেছে, তার বিরুদ্ধে কোনও ধরনের অপরাধের প্রমাণ না মেলায় তার জামিন মঞ্জুর বিবেচনা করেছে আদালত। মাওলানা কালিমুদ্দিন মাজাহিরির বিরুদ্ধে অভিযােগ ছিল, সাকচি মাদ্রাসায় আর এক অভিযুক্ত আহমেদ মাসুদ কে সাক্ষাৎ করে গুজরাত থেকে অর্থ এনে দিয়েছে নাশকতার জন্য। কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯। ধৃত মাওলানাকে নিয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশের এক বড় প্রেস কনফারেন্স করে ।
আদালতের কাছে ঝাড়গণ্ড এটিএস কোনও প্রমাণ না দিতে পারায় তাকে ২৫ হাজার টাকায় ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাওলানা কালিমুদ্দিন মাজাহিরিকে ইউএপিএ আইনে শ্রেফতার করা হয়। সে সময় ঝাড়খণ্ড এটিএসের হয়ে এডিজি এমএল মিনা মাওলানা কালিমুদ্দিনকে সামনে হাজির করিয়ে প্রেস কনফারেন্স করে আল কয়দা যোগের কথা বলেন। তার ভিত্তিতে বিভিন্ন সংবাদপত্র প্রথম পাতায় বড় বড়
হেডিংয়ে আল কায়দা জঙ্গি গ্রেফতারের সংবাদ প্রকাশ করে।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে জঙ্গি যােগের কোনও প্রমাণ দিতে না পারায় হাইকোর্টে জামিনে মুক্তি দেওয়ার খবরও অবশা সেই সব সংবাদপত্রে স্থান পাই নি।