ওয়েবডেস্ক: বাংলার পর কেরল স্থগিত এন পি আর । ‘নো এনআরসি, নো ক্যাব, নো এনসিআর।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রাজ্যবাসীকে একথা জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। সম্প্রতি রাজ্যে এনপিআর-ও বাতিল করেছে মমতা সরকার। সেই পথে হেঁটেই এবার অবস্থান নিল বাম শাসিত রাজ্য কেরল। একেবারে সরকারী বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল এনপিআর স্থগিত রাখা হচ্ছে কেরলে।
শুক্রবার কেরলের মুখ্যসচিব এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে দেশের মানুষ এমনিতেই বিভ্রান্তির শিকার। এর উপর তাঁদের ঘাড়ে যদি জনগণনা চাপানো হয় সেক্ষেত্রে বিভ্রান্তি আরও বাড়বে। তাই সবার আগে নাগরিকত্ব আইনের পরিবর্তন দরকার। যতদিন না এই আইনের পরিবর্তন হচ্ছে ততদিন বন্ধ রাখা হবে এই আইন সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়া। একই মন্তব্য করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কেরলের মানুষ নতুন আনা এই আইন কোনও ভাবেই মানতে পারছেন না। এই আইন দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদের পাশাপাশি একপেশে ধর্মীয় রাজনীতিও জড়িয়ে। এরমাঝে যদি জনগণনা করা হয় সেক্ষেত্রে মানুষে মানুষে বিদ্বেষ ছড়াবে।
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে এমনিতেই উত্তাল গোটা দেশ। প্রতিবাদ বিক্ষোভে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। এই পরিস্থিতির মাঝেই আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনগণনা (এনআরপি) লিপিবদ্ধ করার কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছিল সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষের শুধু বায়োমেট্রিক নয় ডেমোগ্রাফিরও বিবরন থাকার কথা। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই কর্মসূচি রাজ্যে হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেরল সরকার।
গোটা দেশে ই আজ চলছে ,এন আর সি ,এন পি আর বিরোধিতা।
সৌজন্য:- মহানগর ডেস্ক