বিহারের ভোটের ফল ঘোষণার পরই পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে পুরসভা নির্বাচনের জল্পনা কল্পনা

Spread the love

বিহারের ভোটের ফল ঘোষণার পরই পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে পুরসভা নির্বাচনের জল্পনা কল্পনা

পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বিহারের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের সমীক্ষা করেছিল ভারতবর্ষের বিভিন্ন নামীদামী টিভি চ্যানেল ও এক্সিট পোল সংস্থা। অধিকাংশ সমীক্ষাই বলেছিল বিহারে এবার ক্ষমতায় আসছে তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জোট। তবে সমস্ত সমীক্ষাকে মিথ্যা প্রমাণিত করে জনতার রায়ে জয়ী হলো বিজেপির “এনডিএ” জোট। বিহারের ফলাফল ঘোষণা হতেই এবার এরাজ্যে পুরসভার ভোট নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা কল্পনা। তবে এরাজ্য পুরসভার ভোট কবে হবে তা ডিসেম্বরেই ঘোষণা করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, বিশেষ সূত্রের এমনটাই খবর।

সূত্রের খবর, বিশেষ করে কলকাতা পুরসভার আসনগুলিতে কে কোন আসনে প্রার্থী হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঝাড়াই-বাছাই শুরু হয়ে গিয়েছে। তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদল তৃণমুল অবশ্যই এ ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছে বলে খবর। কারণ কলকাতা পুরসভায় ১৪৪ টা আসনের মধ্যে তৃণমূলের রয়েছে ১২৫ জন কাউন্সিলর, বামফ্রন্টের ১২ জন, কংগ্রেসের ২ জন, বিজেপি’র ৫ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।

স্বাভাবিক কারণেই ধরে নেওয়া যাচ্ছে, তৃণমুলের অধিকাংশ কাউন্সিলররাই দলের টিকিট পাচ্ছেন। তবে গত ২০১৫ সালে পুর নির্বাচনে যেসব ওয়ার্ডে তৃনমূল পরাজিত হয়েছিল এবং যেসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মারা গিয়েছেন কিংবা যেসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা দলবিরোধী কথাবার্তা বলছেন অথবা অন্য দলে নাম লিখিয়েছেন…. সেইসব ওয়ার্ডগুলোতে তৃনমূল দক্ষ সংগঠকদের প্রার্থী করবে বলে সূত্রের খবর।

বিশেষ করে বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডটি কলকাতায় এখন নজরকাড়া ওয়ার্ড। কারণ এই ওয়ার্ডে গত পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিজেপি’তে চলে যাওয়ায় দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশী সময় ধরে কার্যত: এই ওয়ার্ডটি কাউন্সিলরহীন অবস্থায় রয়েছে। তবে তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এই কঠিন পরিস্থিতিতে ওয়ার্ডটির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত: বেহালার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডটিও কাউন্সিলর শূন্য অবস্থায় রয়েছে। প্রায় বছর খানেক আগে এই ওয়ার্ডের বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ তৃণমূল কাউন্সিলর মানিকলাল চট্টোপাধ্যায় মারা গিয়েছেন। অথচ আনুষ্ঠানিক ভাবে এখানে কোনও নির্বাচন না হওয়ায় এই ওয়ার্ডটিও কাউন্সিলরহীন অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে, বেহালার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডটিতে ক্ষমতায় রয়েছে সিপিআইএম। কলকাতা পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রত্না রায় মজুমদার এখানকার বর্তমান কাউন্সিলর। এই ওয়ার্ডে যথেষ্ঠ প্রভাব রয়েছে তার। তিনি এলাকার একজন জনপ্রিয় নেত্রীও। এখানে নিশ্চিতভাবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তাই এই ওয়ার্ডটিও দখল করতে ঝাঁপাবে তৃণমূল কংগ্রেস।

উল্লেখ্য, ১২১, ১২৮ ও ১৩১ এই তিনটি ওয়ার্ডই কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন। বিহার জয়ের পর এরাজ্যেও বিজেপির মনোবল এখন তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে এই ওয়ার্ড তিনটিতে প্রার্থী দিতেও ঘাম ঝরাতে হবে তৃণমুলের উচ্চ নেতৃত্বকে। তিনটিতেই “প্রেস্টিজ ফাইট” তৃণমুলের। তাই সঠিক প্রার্থী টিকিট না পেলে গোষ্ঠী কোন্দলও দেখা দিতে পারে বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষ করে ১২১, ১২৮ ও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃনমূল প্রার্থীর তালিকায় কারা কারা এগিয়ে রয়েছেন, পরবর্তী সময়ে ABN News এ তা প্রকাশিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.